পবিত্র ঈদুল আযহার আনন্দ ভাগাভাগি করতে নাড়ির টানে বাড়ী ফিরছে মানুষ। ঘরমুখো এ সকল মানুষের পদচারণায় মুখরিত রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ফেরী ঘাট। তবে ভোগান্তি নেই আগের মতো।
কুরবানির হাটকে সামনে রেখে এরই মধ্যে বেশির ভাগ পশুবাহী ট্রাক ভোগান্তি ছাড়া দৌলতদিয়া ঘাট দিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে পৌঁছে গেছে। তাদেরও ছিল না কোনো ভোগান্তির অভিযোগ।
গতকাল ২৭শে জুন দৌলতদিয়া ঘাট ঘুরে দেখা যায়, ফেরীতে যাত্রীবাহী যানবাহনের পাশাপাশি অধিক সংখ্যক মোটর সাইকেল পারাপার হচ্ছে। লঞ্চগুলোও পাটুরিয়া ঘাট হতে যাত্রী বোঝাই করে দৌলতদিয়া ঘাটে আসছে।
স্থানীয়রা বলছেন, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘরমুখো মানুষ ও যানবাহনের চাপ বাড়ছে দৌলতদিয়া ঘাটে। তবে যাত্রীরা ভোগান্তি ছাড়াই গন্তব্যে যাচ্ছে। ঘাটে যাত্রীদের ভিড়ের সাথে সাথে মহাসড়কেও যানবাহনের চাপ রয়েছে।
এদিকে পদ্মা নদীতে তীব্র স্রোতের কারণে ব্যাহত হচ্ছে এ নৌরুটের ফেরী চলাচল। বর্তমানে এ রুটে ১৮টি ফেরী চলাচল করছে।
যাত্রীরা জানান, পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় ঈদে ভোগান্তি ছাড়া এবারই তারা বাড়ী ফিরছেন। তাছাড়া বাড়তি কোনো ভাড়াও দিতে হয়নি। ফলে এবারের ঈদে আনন্দ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
বিআইডব্লিউটিসি’র দৌলতদিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক(বাণিজ্য) মোঃ সালাহ উদ্দিন বলেন, ঈদের ঘরমুখো যাত্রীদের নির্বিঘ্নে পারাপার করতে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুট পুরোপুরি প্রস্তুত রয়েছে। পর্যাপ্ত সংখ্যক ফেরী রয়েছে। যাত্রী ও যানবাহনগুলো কোনো রকম ভোগান্তি ছাড়াই পারাপার হচ্ছে। বর্তমানে এ নৌরুটে ১৮টি ছোট-বড় ফেরী দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে এবং ৪টি ঘাট সচল রয়েছে।
