ঢাকা শনিবার, মে ৪, ২০২৪
অন্যের নামে সিম রেজিস্ট্রেশন করে অপরাধী চক্রের কাছে বেঁচতো তারা
  • আশিকুর রহমান
  • ২০২১-১২-১১ ১৩:২২:২৮
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের সদস্যরা গত ৫ই ডিসেম্বর রাজবাড়ীতে অভিযান চালিয়ে মোবাইলের সিমকার্ড রেজিস্ট্রেশন প্রতারক চক্রের ২জন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে -মাতৃকণ্ঠ।

রাজবাড়ী থেকে মোবাইলের সিমকার্ড রেজিস্ট্রেশন প্রতারক চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের সদস্যরা। 

  গত ৫ই ডিসেম্বর রাজবাড়ী সদর উপজেলার রামকান্তপুর ইউনিয়নের বেথুলিয়া ও শহরের নিউ কলোনী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলো- বেথুলিয়া এলাকার মুন্না মন্ডল ও নিউ কলোনী এলাকার মোঃ রবিউল খান ওরফে আলিফ।

  গতকাল ১১ই ডিসেম্বর রাতে সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার সুরঞ্জনা সাহা মাতৃকণ্ঠকে বিষয়টি জানান। 

  তিনি বলেন, ঢাকার ভাটারা থানায় দায়েরকৃত একটি বিকাশ প্রতারণা সংক্রান্ত মামলা তদন্ত করতে গিয়ে ডিএমপি’র কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগ জানতে পারে যে,বিকাশ প্রতারকরা রাজবাড়ী জেলায় রেজিস্টেশনকৃত সিমকার্ড দিয়ে বিকাশ প্রতারণা হতে শুরু করে বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজ পরিচালনা করে আসছে। ওই মামলায় সাইবার ক্রাইম বিভাগ গত এপ্রিল মাসে রাজবাড়ী সদর উপজেলার ভবদিয়া গ্রামের মোঃ জাহিদ খানকে গ্রেফতার করে। এরপর জাহিদকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেয়।

  সহকারী পুলিশ কমিশনার সুরঞ্জনা সাহা বলেন, জাহিদের দেওয়া তথ্য এবং তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গত ৫ই ডিসেম্বর রাজবাড়ী সদর উপজেলার রামকান্তপুর ইউনিয়নের বেথুলিয়া এলাকার নিজ বাড়ি থেকে মুন্না মন্ডলকে এবং শহরের নিউ কলোনী এলাকার নিজ বাড়ি থেকে আলিফকে গ্রেফতার করা হয়। মুন্না মোবাইল অপারেটর কোম্পানী এয়ারটেলে এবং আলিফ রবিতে ব্রান্ড প্রমোটর(বিপি) হিসেবে কাজ করতো। তারা বিভিন্ন সময় কমদামে সিম বিক্রি করার নাম করে রাজবাড়ীর চর এলাকাগুলোতে ‘সিম মেলা’ বসাতো এবং সহজ সরল সাধারণ মানুষদের হাতের আঙুলের ছাপ নিয়ে কৌশলে একাধিক সিম রেজিস্ট্রেশন করে নিজেদের কাছে রেখে দিতো। অনেক সময় আঙুলের ছাপ হচ্ছে না উল্লেখ করে রেজিস্ট্রেশনকৃত সিম তাদের নিজেদের নিকট রেখে দিত। পরবর্তীতে সিমগুলো তারা বিভিন্ন প্রতারক চক্রের সদস্যদের কাছে উচ্চমূল্যে বিক্রি করতো।  

  তিনি আরও বলেন, মুন্না ও আলিফর কাছ থেকে অন্যের নামে রেজিস্ট্রেশন করা প্রি-অ্যাকটিভ কয়েকটি সিম উদ্ধার করা হয়েছে। বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে তাদের জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্র সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। তথ্যগুলো যাচাই-বাছাই করে এই অপরাধী চক্রের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

রাজবাড়ী-ঢাকা-ভাঙ্গা রুটে দুই জোড়া নতুন ট্রেন উদ্বোধন আজ
রাজবাড়ীতে শুদ্ধ আবৃত্তি চর্চার কেন্দ্র কাব্যগৃহ’র আত্মপ্রকাশ
ক্যারিয়ার ক্লাব অব রাজবাড়ীর ৩য় ক্যারিয়ার ফেস্ট অনুষ্ঠিত
সর্বশেষ সংবাদ