ঢাকা বৃহস্পতিবার, মে ১৬, ২০২৪
‘গেদু চাচা’ খ্যাত সাংবাদিক মোজ্জাম্মেল হক আর নেই
  • স্টাফ রিপোর্টার
  • ২০২০-০৬-২৯ ১৫:২৫:৪৫
গেদুচাচা খ্যাত প্রখ্যাত কলামিস্ট, সিনিয়র সাংবাদিক, জাতীয় প্রেসকাবের স্থায়ী সদস্য ও ‘সাপ্তাহিক আজকের সূর্যোদয়’ পত্রিকার প্রধান সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা খোন্দকার মোজাম্মেল হক।

গেদুচাচা খ্যাত প্রখ্যাত কলামিস্ট, সিনিয়র সাংবাদিক, জাতীয় প্রেসকাবের স্থায়ী সদস্য ও ‘সাপ্তাহিক আজকের সূর্যোদয়’ পত্রিকার প্রধান সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা খোন্দকার মোজাম্মেল হক আর নেই। 
  তিনি গতকাল ২৯শে জুন বিকাল ৪টায় করোনার উপসর্গ নিয়ে রাজধানী বাড্ডার এএমজেড হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন(ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
  মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর। তিনি স্ত্রী, তিন ছেলে ও দুই মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী, ভক্ত ও সহকর্মী রেখে গেছেন। ১৯৫২ সালের ২৬শে নভেম্বর ফেনী জেলার ছাগলনাইয়ায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি।
  সাংবাদিক ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা খোন্দকার মোজাম্মেল হকের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল সোমবার এক শোক বার্তায় প্রয়াতের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান।
  আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের খোন্দকার মোজাম্মেল হকের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তিনি মরহুমের বিদেহী অত্মার শান্তি কামনা করেন এবং তার শোক-সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
  তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদও সাপ্তাহিক আজকের সূর্যোদয় পত্রিকার সম্পাদক খোন্দকার মোজাম্মেল হকের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
  তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ তার শোকবার্তায় খোন্দকার মোজাম্মেল হকের কর্মময় জীবনের কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। তিনি প্রয়াতের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন ও শোকাহত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
  জাতীয় পার্টির সাবেক চেয়ারম্যান প্রয়াত হুসাইন এরশাদের শাসনামলে ৮০-এর দশকে ‘সুগন্ধা’ নামে একটি সাপ্তাহিক পত্রিকায় ‘গেদু চাচার খোলা চিঠি’ কলাম লিখে দেশে সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন খোন্দকার মোজ্জাম্মেল হক। এই কলামে তৎকালীন সরকারের সমালোচনা করে সমাজের নানা সমস্যা, সংকট তার লেখনীর মাধ্যমে তুলে ধরে করণীয় সম্পর্কে পরামর্শ দিতেন।
  খোন্দকার মোজাম্মেল হক পরবর্তীতে ‘সাপ্তাহিক সূর্যোদয়’ নামে আরেকটি সাপ্তাহিক পত্রিকার সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। পরে সাপ্তাহিক আজকের সূর্যোদয় নামের আরেকটি সাপ্তাহিক পত্রিকায় প্রধান সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বপালন করেন।
  তিনি চট্টগ্রাম বিভাগ সাংবাদিক সমিতির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। এছাড়া ফেনী সাংবাদিক ফোরামের(ঢাকা) উপদেষ্টা ছিলেন।
  গত ২৭শে জুন রাতে শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন খোন্দকার মোজাম্মেল হক। এছাড়াও তিনি দীর্ঘদিন ডায়াবেটিসে ভুগছিলেন। আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাসার কাছে মরহুমের প্রথম নামাজে জানাযা শেষে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে ছাগলনাইয়ায় গ্রামের বাড়িতে। সেখানে বিকাল ৫টায় দ্বিতীয় জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
  ষাটের দশকে বৃহত্তর নোয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তখন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ছাত্রদের নিয়ে গণআন্দোলন গড়ে তোলেন। স্বাধীনতাযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। 
  সাংবাদিক নেতৃবৃন্দের শোক ঃ জাতীয় প্রেসক্লাব সভাপতি সাইফুল আলম ও সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন, দৈনিক মাতৃকণ্ঠের সম্পাদক ও রাজবাড়ী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক খোন্দকার আব্দুল মতিন পৃথক বিবৃতিতে প্রখ্যাত কলামিষ্ট ও সাংবাদিক খোন্দকার মোজাম্মেল হকের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করাসহ তারা মরহুমের শোকাহত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
  শোকবার্তায় তারা বলেন, খোন্দকার মোজাম্মেল হকের অকাল মৃত্যুতে সাংবাদিক সমাজের অপূরণীয় ক্ষতি হল। একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তিনি আমৃত্যু মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষে অগ্রগামী সৈনিক হিসেবে ভূমিকা রেখেছেন। 

 

বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিতে ডোনাল্ড লু’র সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসূ : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ডিএফপি’র নবনিযুক্ত মহাপরিচালক আকতার হোসেনের দায়িত্বভার গ্রহণ
ফুলেল শুভেচ্ছায় ডিএফপি’র নতুন মহাপরিচালককে বরণ
সর্বশেষ সংবাদ