সারা দেশের ন্যায় রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলাতে গত এক সপ্তাহে বিভিন্ন পণ্যের দাম প্রতি কেজিতে ৫ থেকে ৬০টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
আমদানী বেশী থাকলেও কিছু অসাধু পাইকারী ব্যবসায়ীদের জন্য দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়ছে বলে অভিযোগ করছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা।
গোয়ালন্দ উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গত সপ্তাহে প্রতি কেজি পেঁয়াজের মূল্য ছিলো ৮০ টাকা, চলতি সপ্তাহে তা প্রতিকেজি ১২০ টাকা, গত সপ্তাহে প্রতিকেজি বেগুনের মূল্য ছিলো ২৫ টাকা, চলতি সপ্তাহে ৬০ টাকা। গত সপ্তাহে প্রতি কেজি শসা ৪০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৯০ টাকা, প্রতিকেজি আদা ২০০ টাকা হতে বেড়ে চলতি সপ্তাহে ২৩০ টাকা, রসুন প্রতিকেজি ১৭০টাকা থেকে বেড়ে চলতি সপ্তাহে ২২০ টাকা, প্রতিকেজি আলু ২৫ হতে চলতি সপ্তাহে ৩৫ টাকা, প্রতিকেজি টমেটো ২৫ টাকা থেকে বেড়ে চলতি সপ্তাহে ৪০টাকা, প্রতি হালি লেবু ১৫ টাকা থেকে বেড়ে চলতি সপ্তাহে ৫০/৬০ টাকা, ছোলা প্রতিকেজি ৯০টাকা হতে বেড়ে চলতি সপ্তাহে ১১০টাকা। এভাবে প্রায় প্রতিটি পণ্যের দাম বাড়লেও অপরিবর্তিত রয়েছে ডিম, তেল, শুকনা মরিচ, লবন, সরিষা তেলের দাম।
অন্যদিকে মাছ-মাংস এখন অনেকটাই স্বল্প আয়ের মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে। মুরগির বাজার এক-দেড় মাস ধরেই অস্থির। দফায় দফায় বেড়ে ব্রয়লারের কেজি এখন ২২০-২৩০ টাকা। সোনালী জাতের মুরগির কেজি ৩০০-৩৩০ টাকা। প্রতি হালি ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৫০ টাকা দরে।
মাসের ব্যবধানে গরুর মাংসের দাম প্রায় ৫০ টাকা বেড়ে এখন প্রতি কেজি ৭৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। একইভাবে মানভেদে রুই-কাতলার কেজি হয়েছে ৩৫০-৪০০ টাকা। চাষের তেলাপিয়া পাঙাশও ২০০ টাকার কমে পাওয়া যাচ্ছে না।
গত কয়েক দিনের ব্যবধানে কোন পণ্যের দাম বেড়েছে এমন প্রশ্নের উত্তরে মুদি ব্যবসায়ীরা বলেন, সবকিছুরই তো দাম বেড়ে রয়েছে, আর কতো বাড়বে? কোনো পণ্যের দাম কমেছে কি না- এ প্রশ্নে তার সাফ জবাব, এ দেশে কোনোকিছুর দাম বাড়লে আর সেটা কমে না।
গোয়ালন্দ বাজারে কাঁচামাল বিক্রেতা হাবিবুর রহমান বলেন, কাঁচা পণ্যের দাম বাড়ার কারণ হলো পাইকারী ব্যাবসায়ীরা। তারা সকাল হতে ওৎ পেতে থাকে পাইকারী বাজারে। সেখান থেকে পণ্য ক্রয় করে অধিক মুনাফার আশায় রাজধানীতে পাঠিয়ে দিচ্ছেন। যার প্রভাব পড়ছে খুচরা বিক্রেতাদের উপর।
ক্রেতাদের সাথে কথা হলে তারা বলেন, এভাবে দ্রব্যমূল্য বাড়াতে থাকলে আমাদের চরম বিপাকে পড়তে হয়। আমরা বাসা থেকে পূর্বের মূল্য অনুযায়ী হিসেব করে টাকা এনে পরে দাম বাড়ার কারণে দু’একটা আইটেম ছাড়া পড়ে যায়।
এ বিষয়ে গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র বলেন, আমরা নিয়মিত ভাবে বাজার মনিটরিং করছি। আমরা দোকানদারদের বলছি যাতে কোন ভাবে মূল্যবৃদ্ধি করা না হয়। অজাচিত ভাবে কোন দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি করা হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ঢাকা অফিস : ৩৪/১ ডি-২, হাটখোলা সড়ক (অভিসার সিনেমা হলের পিছনে), ঢাকা-১২০৩। ফোন অফিস : 0641-66666, বার্তা বিভাগ : 66333, রাজবাড়ী প্রেসক্লাব অফিস : 66660, বাসা : 65728, মোবাইল : 01713-489472, 01715-019375, 01715-621243, ই-মেইল : motin_rajbari@yahoo.com এবং matrikantha@gmail.com