রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি কর্মসূচী সফল করার লক্ষ্যে গতকাল ২২শে নভেম্বর বিকেলে ফরিদপুর প্রেসক্লারে সাংবাদিক লিয়াকত হোসেন মিলনায়তনে বিভাগীয় বিএনপির আয়োজনে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 প্রস্তুতি সভায় ফরিদপুর জেলা বিএনপি, রাজবাড়ী জেলা বিএনপি, গোপালগঞ্জ জেলা বিএনপি ও মাদারীপুর জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

 বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক(ফরিদপুর বিভাগ) শামা ওবায়েদের সভাপতিত্বে প্রস্তুতি সভায় কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম, ফরিদপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেছ আলীসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।

 সভাপতির বক্তব্যে শামা ওবায়েদ বলেন, ৫ই আগস্ট ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিবাদের পতনের পরে বাংলাদেশ এখন নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে। একদিকে যেমন একটা প্রশান্তি আছে, তেমনি একটা অশান্তিও বিরাজ করছে। দেশটাকে সঠিক পথে নিতে না পারলে এই ছাত্র-জনতার আন্দোলন এবং বিএনপি নেতাকর্মীদের আত্মদান বৃথা হয়ে যাবে।

 শামা ওবায়েদ বলেন, হাসিনা পলায়নে ফ্যাসিবাদের পতনের পর এখন আমরা সকলে নিঃশ্বাস নিতে পারছি, কথা বলতে পারছি, রাতে শান্তিতে ঘুমাতে পারছি। আমাদের ছেলেমেয়েদের ধরে নিয়ে যাবেনা, গুম করবে না, সেই একটা প্রশান্তি আছে আমাদের। সেইসাথে একটা অশান্তিও বিরাজ করছে। কারণ বাংলাদেশে জিনিসপত্রের দাম এখনো কমছে না। অর্থনৈতিক অবস্থা এখনো স্থিতিশীল হয়নি। এখনো বিভিন্ন ধরনের কথাবার্তা, বিভিন্ন ধরনের আওয়াজ দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে আছে।

 তিনি বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল একটি অত্যন্ত  রেসপনসেবল দল। যারা এর আগে বহুবার সরকারের দ্বায়িত্বে থেকে দেশ পরিচালনা করেছে। শহীদ জিয়ার ১৯ দফা তারপরে খালেদা জিয়ার ভিশন ২০২৩ দিয়েছিলেন। এর উপর ভিত্তি করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ৩১ দফা দিয়েছেন। দেশের সকল পর্যায়ের রাজনৈতিক দল ও সিভিল সোসাইটির প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে আলোচনা করেই তারেক রহমান ৩১ দফা প্রণয়ন করেন। 

 ‘নতুন বাংলাদেশে আমরা আমাদের লক্ষ্যে এখনো পৌঁছাতে পারিনি’ উল্লেখ করে শামা ওবায়েদ বলেন, আমাদের লক্ষ্য গণতান্ত্রিক ধারা প্রতিষ্ঠা করা, ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করা, নির্বাচন ব্যবস্থাকে ঠিক করা, দেশের যেই গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে শেখ হাসিনা বা তার পরিবার ধ্বংস করে দিয়ে গেছে, সেগুলোকে ঠিক করা।

 এ সময় ফরিদপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আফজাল হোসেন খান, সৈয়দ জুলফিকার হোসেন, খন্দকার ফজলুল হক, আতাউর রশিদ, আলী আশরাফ, দেলোয়ার হোসেন, গোলাম রব্বানী ভূঁইয়া, আজম খান, তানভীর চৌধুরী, ফরিদপুর মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব গোলাম মোস্তফা মিরাজ, যুগ্ম আহ্বায়ক এ বি সিদ্দিক মিতুল, মোঃ তৈয়ব আক্তার, ওবায়দুল কাদের, আরিফুজ্জামান অপু, আলমগীর ভূঁইয়া, মোঃ এমদাদুল হক, সদস্য কাইয়ুম মিয়া, মোঃ কামরুল ইসলাম, রাজবাড়ী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এডঃ লিয়াকত আলী বাবু,  সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সহ-সভাপতি এডঃ মোঃ আসলাম মিয়া, সদস্য সচিব এডঃ কামরুল আলম, রাজবাড়ী জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক হারুন উর রশিদ হারুন, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান লিখন, ছাত্রদলের আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম রোমান, মাদারীপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাফর আলী মিয়া, গোপালগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এম রফিকুজ্জামানসহ বৃহত্তর ফরিদপুরের বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।