পাঙ্গাশ মাছের গায়ে আল্লাহু লেখা দেখে বিক্রি না করে রেখে দিলেন ব্যবসায়ী

মইনুল হক মৃধা || ২০২৫-০৭-১৭ ১৫:৩২:৫৯

image

 রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ বাজারের এক ব্যবসায়ীর আড়তে একটি পাঙ্গাশ মাছের গায়ে আরবী অক্ষরে ‘আল্লাহু’ লেখা দেখা গেছে। 
 অন্যান্য মাছের সঙ্গে এই মাছটি পাইকারী দরে বিক্রি করা হয়েছিল। তবে খুচরা বিক্রেতা মাছটি পাওয়ার পর স্পষ্ট আরবী অক্ষরে বড় ‘আল্লাহু’ লেখা দেখতে পান। জানতে পেরে আড়তদার মাছটি দ্রুত আড়তে ফিরিয়ে আনতে বলেন। বর্তমানে মাছটি আড়তদারের ঘরেই রাখা রয়েছে। 
 গোয়ালন্দ বাজারের মাছের বড় পাইকারী আড়তদার বাদল বিশ্বাস বলেন, প্রতিদিনের মতো তিনি গতকাল ১৭ই জুলাই ভোরে পাঙ্গাশ মাছ বিক্রি করেন। মাছগুলো ময়মনসিংহ থেকে ট্রাকে করে পাইকারী দরে ক্রয় করে গোয়ালন্দ বাজার আনেন। দৌলতদিয়া ঘাট এলাকার খুচরা মাছ বিক্রেতা চাঁন মিয়া তার ঘর থেকে পাঙ্গাশ কিনেন। দৌলতদিয়া বাজারে বিক্রির জন্য ডালায় তোলার কিছুক্ষণ পর একটি পাঙ্গাশের গায়ে মাথার দিকে বড় আরবী অক্ষরে ‘আল্লাহু’ লেখা দেখতে পান। তাৎক্ষনিকভাবে তিনি পাইকারী আড়তদার বাদল বিশ্বাসকে অবগত করলে দ্রুত মাছটি আড়তে ফেরত নিয়ে আনতে বলেন। ওই সময় মাছটি তাজা থাকায় আড়তদার তাৎক্ষনিক পদ্মা নদীতে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু কিছুক্ষণ পর মাছটি মরে যাওয়ায় আর ছাড়তে পারনেনি। বর্তমানে বাদল বিশ্বাস তার আড়ত ঘরের রেফ্রিজারেটরে রেখে দিয়েছেন। 
 বাদল বিশ্বাস আরও বলেন, গত ১৬ই জুলাই দিনগত রাত দুইটার দিকে ট্রাকে করে ময়মনসিংহ থেকে পাঙ্গাশ মাছ তার আড়ত ঘরে নামে। এই মাছগুলো গতকাল ১৭ই জুলাই ভোর পাঁচটা থেকে বিক্রি শুরু করেন। এ সময় দৌলতদিয়া ঘাট বাজারের খুচরা বিক্রেতা চাঁন মিয়া ১৭০ টাকা কেজি দরে ৪০ কেজি পাঙ্গাশ কিনেন। মাছগুলো সকাল সাতটার দিকে দৌলতদিয়া ঘাট বাজারে বিক্রির সময় আল্লাহু লেখা দেখতে পেয়ে তাকে ফোনে জানান। পরে মাছটি তার ঘরে ফিরিয়ে আনতে বললে সকাল ৮টার দিকে ফিরিয়ে আনা হয়। বর্তমানে মাছটি তার ঘরে রেখে দিয়েছেন।

 

ঢাকা অফিস : ৩৪/১ ডি-২, হাটখোলা সড়ক (অভিসার সিনেমা হলের পিছনে), ঢাকা-১২০৩। ফোন অফিস : 0641-66666, বার্তা বিভাগ : 66333, রাজবাড়ী প্রেসক্লাব অফিস : 66660, বাসা : 65728, মোবাইল : 01713-489472, 01715-019375, 01715-621243, ই-মেইল : motin_rajbari@yahoo.com এবং matrikantha@gmail.com