পণ্যবাহী ট্রাক বা পিকআপকে লকডাউনের আওতামুক্ত রাখা হলেও এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে গোয়ালন্দের কাঁচা বাজারে। 

  গতকাল ২৯শে জুন গোয়ালন্দ উপজেলার কয়েকটি বাজারে এর বাস্তব চিত্র দেখা গেছে। স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে ব্যবসায়ীরা বেশি দামে বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ করেছেন ক্রেতারা। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের ক্রমাগত মূল্যবৃদ্ধি ভাবিয়ে তুলেছে শহরের নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষকে।

  নাম না বলা গোয়ালন্দ বাজারের এক ব্যবসায়ী জানান, গত ৩-৪ দিন ধরে বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বেড়ে গেছে। বাজারে ক্রেতাসমাগম বেশি। কাঁচাবাজারের প্রতিটি দ্রব্যের দাম ১০ থেকে ১৫ টাকা করে কেজিতে বৃদ্ধি পেয়েছে।

  খুচরা বাজারে বেগুন এখন প্রতি কেজি ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একইভাবে পটল ৪০ টাকা, ঝিঙ্গা ৪৫ টাকা, আলু ২২ টাকা, কাকরোল ৫০ টাকা, বরবটি ৩০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৬০ টাকা,লেবু ২০ টাকা হালি, কঁচুরমুখী ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অথচ একসপ্তাহ আগে বেগুন ৩০ টাকা, পটল ২৫ টাকা, ঝিঙ্গা ৩০ টাকা, কাকরল ৩৫ টাকা, বরবটি ২০ টাকা, কাচা মরিচ ৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে বলে ব্যবসায়ীরা জানান।

  এ প্রসঙ্গে আরো কয়েকজন জানান, পাইকারি বাজারেও সব জিনিসের মূল্য বেড়েছে। তাছাড়া ওই বাজার থেকে চড়া মূল্যে তাকে মাল ক্রয় করে বিক্রি করতে হচ্ছে।

  খানখানাপুর বাজারের কাঁচা বাজারের ব্যবসায়ী লোকমান শিকদার জানান, পাইকারি বাজারে আগের মতো কাঁচামাল আসছেনা। লকডাউনের কারণে পরিবহন সংকট থাকায় কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। তাছাড়া আগামী বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে দেশব্যাপী কঠোর লকডাউন। এটা জানতে পেরে জেলা ও উপজেলা শহরের অধিকাংশ ক্রেতা হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন মালামাল ক্রয় করতে। ফলে বাজারে কিছুটা সংকট আছে।

  দৌলতদিয়া বাজারের মাছ বিক্রেতা আলম শেখ জানান, অন্যদিন বিক্রি করতে তার দুপুর গড়িয়ে যেত। সামনে কঠোর লকডাউনের খবরে ক্রেতারা অগ্রীম মাছ ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছে।

  বাজার করতে আসা ক্রেতা সিরাজুল ইসলাম জানান, নির্ধারিত সময়ের আগে অধিকাংশ মালামাল বিক্রি প্রায়ই শেষের দিকে। তাছাড়া বাজারে চাহিদার তুলনায় মালের যোগান কম থাকায় সব জিনিসের দাম বেশী। তাই বেশী দাম দিয়ে কাঁচামাল ক্রয় করে বাড়ী ফিরে যাচ্ছেন তিনি।