ঢাকা মঙ্গলবার, এপ্রিল ৩০, ২০২৪
রাজবাড়ীর দাদশীতে ৩০ মণ ওজনের সিংহরাজ অবশেষে বিক্রি হলো ৫ লক্ষ টাকায়
  • মীর সামসুজ্জামান সৌরভ
  • ২০২৩-০৭-০৩ ০৪:০৬:৩৩

২৫ লক্ষ টাকা দাম হাঁকিয়ে সাড়া ফেলানো রাজবাড়ী সদর উপজেলার দাদশী ইউনিয়নের সিংগা বাজার এলাকার ৩০ মণ ওজনের ষাঁড় ‘সিংহরাজ’ বিক্রি হয়েছে মাত্র ৫ লক্ষ টাকায়।

  স্থানীয় হাটে ক্রেতার অভাব ও প্রত্যাশিত দাম না পাওয়ায় গরুটির মালিক সুচিন্ত্য কুমার সেন ঢাকার আফতাব নগর হাটে ঈদের আগের দিন ৫ লাখ টাকায় সিংহরাজকে বিক্রি করেন।

  জানা গেছে, এবছর ঈদুল আযহার ঈদে রাজবাড়ীর মধ্যে আলোচনায় আসা বড় গরুর মধ্যে ‘সিংহরাজ’ অন্যতম। ৩০ মণ ওজনের গরুটির উচ্চতায় ৬ ফুট ও লম্বায় ১০ ফুট। রাজবাড়ী সদর উপজেলার দাদশী ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের সিংগা বাজার সংলগ্ন সুচিন্ত্য কুমার সেনের খামারে সিংহরাজ বেড়ে উঠে। প্রায় ৪ বছর আগে কুষ্টিয়া থেকে ৭৫ হাজার টাকা দিয়ে ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড়টি কিনেছিলেন সুচিন্ত্য কুমার সেন। আদর করে যার নাম রাখেন সিংহরাজ। ফ্রিজিয়ান জাতের এ ষাঁড়টি চার বছর ধরে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে লালন পালন করেন সুচিন্ত্য। এই বিশাল ষাঁড়টির গায়ের রং কালো। প্রতিদিন তার খাদ্য তালিকায় ছিলো খেসারির ভুষি, ডাবলির ভুষি, ভুট্টার ভুষি, খুদের ভাত, ডাব ও গুড় দিয়ে তৈরি শরবত, কাঁচা-পাকা কলা, গমের ভুষি ও কাঁচা ঘাস।

  সিংহরাজের মালিক সুচিন্ত্য কুমার সেন জানান, গত বছর তিনি গরুটি বিক্রির জন্য ঢাকার গাবতলী হাটে তোলেন। সে সময় ৮ লাখ টাকা দাম হয়েছিলো। কিন্তু তিনি ১০ লাখ টাকা বিক্রির আশায় গরুটি ঢাকা থেকে ফেরত আনেন। এরপর এক বছর আবার লালন পালন করেন। ভেবেছিলেন এবছর তিনি আশানুরূপ দাম পাবেন। কিন্তু স্থানীয় হাটে গরুটির কোন ক্রেতা ছিলো না। পরে তিনি ঈদের ৩/৪ দিন আগে ঢাকার আফতাব নগর হাটে নিয়ে যান। সেখানেও একই অবস্থা। বড় গরুর ক্রেতা কম, আবার দাম ও কম। সেখানে সর্বোচ্চ ৬ লাখ টাকা দাম হলেও তিনি বিক্রি করেননি। পরে ঈদের আগের দিন বিকালে তিনি ৫ লাখ টাকায় সিংহরাজকে বিক্রি করেন।

  তিনি আরও জানান, আমরা প্রান্তিক খামারী। অনেক আশা নিয়ে, মাথার ঘাম পায়ে ফেলে কষ্ট করে গরু লালন-পালন করি। নিজেরা না খেয়ে থাকলেও গরুটিকে কখনো না খেয়ে রাখিনি। চার বছর ধরে আমি ও আমার স্ত্রী, সন্তান অনেক পরিশ্রম করেছি। কিন্তু আশানুরূপ দাম পেলাম না।

  রাজবাড়ী সদর উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ খায়ের উদ্দিন বলেন, সুচিন্ত্য সেনের গরু সিংহরাজ জেলার কয়েকটি বড় গরুর মধ্যে একটি। গত বছরই গরুটির দাম ৮ লাখ টাকা উঠেছিলো। কিন্তু সুচিন্ত্য গরুটি বিক্রি করেনি। এই বছর সে গরুটি ২৫ লাখ টাকা দাম চেয়েছিল। ভেবেছিলো হয়তো ১৫ লাখ টাকা দাম পাবে। কিন্তু সর্বশেষ সে গরুটি ৫ লাখ টাকায় বিক্রি করেছে।

  তিনি আরও বলেন, আমরা প্রাণি সম্পদ অফিস থেকে সবসময় খামারীদের ছোট ও মাঝারী আকারের গরু লালন-পালন করতে পরামর্শ দেই। কারণ ছোট ও মাঝারী আকারের গরুর চাহিদা বেশি থাকে। আর বড় গরুর ক্রেতা কম আবার দাম ও কম থাকে। বড় গরু পালন করে খামারীদের লাভের থেকে লোকসানই বেশি হয়।

স্থানীয় নির্বাচনে এমপি ও মন্ত্রীরা প্রভাব বিস্তার করতে পারবে না--নির্বাচন কমিশনার মোঃ আলমগীর
শেরে বাংলা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষে ‘ওয়াটার বেল’ কার্যক্রম
রাজবাড়ী জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানকে সতর্ক করলো জেলা নির্বাচন অফিসার
সর্বশেষ সংবাদ