জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি মোনায়েম মুন্না বলেছেন, আমাদের আন্দোলন এখনো শেষ হয়নি। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নামে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহার করা হয়নি। এজন্য এখনো তিনি দেশে ফিরতে পারেন নাই। তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য আমাদের রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে।
গতকাল ২০শে নভেম্বর বিকেলে রাজবাড়ী পৌর কমিউনিটি সেন্টারে সারাদেশে জেলা ভিত্তিক সাম্য ও মানবিক সমাজ বিনির্মাণে জেলা যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের সমন্বয়ে যৌথ কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোনায়েম মুন্না একথা বলেন।
মোনায়েম মুন্না বলেন, রাজবাড়ীর বিএনপির রাজনীতিতে গ্রুপিং আর গ্রুপিং। ফ্যাসিস্ট হাসিনার আন্দোলনের বিরুদ্ধে উল্লেখযোগ্য ঘটনাতে কোন ভূমিকা দেখতে পায়নি। শুধু দলের পদ-পদবী করার জন্য আপনারা যদি ব্যস্ত থাকেন তাহলে কিন্তু রাজনীতি হবে না। অনেকেই কিন্তু আপনারা স্রোতে গাঁ ভাসিয়ে দিয়েছেন। মনে করছেন দল ক্ষমতায়। কিন্তু তা না। আমাদের আন্দোলন এখনো শেষ হয়নি। ফ্যাসিবাদ মুক্ত দেশে সাম্য ও মানবিক সমাজ বিনির্মাণে জিয়ার সৈনিকদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। একটি গণতান্ত্রিক দেশ গড়ার কাজ করার পাশাপাশি পতিত স্বৈরাচার যাতে ফেরত না আসতে পারে সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের প্রিয় অভিভাবক তারেক রহমান বলেছেন, ভয় দেখিয়ে নয়, উদারতা দেখিয়ে মানুষের মন জয় করতে হবে। মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে হেেব।
এ সময় মোনায়েম মুন্না বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নামে করা মিথ্যা মামলা গুলো প্রত্যাহার করতে হবে।রাজপথে আমাদের লড়তে হবে।নির্বাচন নিয়ে আমরা কোন তালবাহানা সহ্য করবো না। জনগণের ভোটের অধিকার ফিরেয়ে দেওয়ার জন্য বিএনপি আন্দোলন সংগ্রাম করেছে। মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। আমরা রজপথে অতীতের মতন আর বেগবান হয়ে থাকবে।
মোনায়েম মুন্না বলেন, আমাদের নেত্রী খুব সম্ভ্রান্ত মানুষ। একটি মিথ্যা মামলায় তাকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিলো। আমাদের নেত্রী কখনো অন্যায়ের সাথে আপোষ করেনি। গত ১৭ বছর আমাদের নেত্রী ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে অনেক অন্দোলন সংগ্রাম করেছি। সেই আন্দোলন সংগ্রামের চূড়ান্ত পর্যায় ছিল জুলাই ও আগস্টে। দীর্ঘ এই আন্দোলন সংগ্রামে আমাদের হাজার হাজার নেতাকর্মী খুন হয়েছে, গুম হয়েছে, হামলার শিকার হয়েছে। আমরা আন্দোলন সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে গণতন্ত্র ফিরে পেয়েছি। আগামীতে রাজপথে তারেক রহমানের হাত শক্তিশালী করতে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদল মাঠে থাকবে।
জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসানের সভাপতিত্বে কর্মী সভায় কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন নাসির, যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক বিল্লাল হোসেন তারেক, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আমান্নুলা আনাম, রাজবাড়ী জেলা যুবদলের আহবায়ক খায়রুল আনাম বকুল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান লিখন, জেলা ছাত্রদলের আহবায়ক আরিফুল ইসলাম রোমানসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।
কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন নাসির বলেন, একবিংশ শতাব্দীতে এসে প্রকাশ্যে যে খুনি সংগঠন মানুষকে হত্যা করেছে সেরকম রাজনীতি আমরা আর বাংলাদেশে দেখতে চাই না। ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা জোর করে মিছিলে নেওয়াসহ যাবতীয় যে নেতিবাচক রাজনীতি গত সাড়ে ১৫ বছর কায়েম করেছে তার বিপরীতে একটি অর্থবহ এবং ইতিবাচক ছাত্র রাজনীতি বিনির্মাণ করা যায় সেই বিষয়ে ছাত্রদল কাজ করছে।
যৌথ এ কর্মীসভায় সঞ্চালনা করেন জেলা যুবদলের সদস্য সচিব ইঞ্জিঃ আমিনুর রহমান ঝন্টু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ ও জেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব শাহিনুর রহমান।
এ সময় যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক প্রিন্স আহম্মেদ ইমরান, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ কামরুল হাসান খান সাইফুল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক যুবদল দেওয়ান আলাউদ্দিন সুমন, সাবেক সদস্য মোঃ হুয়ামায়ুন আহম্মেদ শিপন, ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের সাবেক সদস্য আজমীর হোসেন, সাবেক সমাজ কল্যাণ সম্পাদক আজাহারুল ইসলাম মিলন, সাবেক পাঠাগার সম্পাদক মঈন উদ্দিন খোকনসহ যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।