ঢাকা মঙ্গলবার, জুন ৩, ২০২৫
রাজবাড়ীতে জমে উঠতে শুরু করেছে কোরবানীর পশুর হাট
  • সুজন কুমার বিষ্ণু
  • ২০২৫-০৬-০১ ১৬:০৬:৫৩

পবিত্র ঈদুল আযহা ঘনিয়ে আসায় জমে উঠতে শুরু করেছে রাজবাড়ীর গরু-ছাগলের হাটগুলো। সাধ্যের মধ্যে পছন্দের কোরবানীর পশু কিনছে ক্রেতারা। তবে দাম নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। হাটগুলোতে নিরাপত্তার সব ধরণের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। 
 এছাড়াও অসুস্থ গবাদি পশুর চিকিৎসায় হাটগুলোতে রয়েছে মেডিকেল টিম। জেলায় এবার ২৩টি স্থানে কোরবানীর পশু কেনাবেচার হাট বসার অনুমতি দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১৬টি স্থায়ী ও ৭টি অস্থায়ী হাট রয়েছে।
 জেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্র জানায়, জেলায় আসন্ন ঈদুল আযহায় কোরবানীর জন্য ৫৫ হাজার ৭৫০টি পশুর চাহিদা রয়েছে। আর কোরবানীর উপযোগী ৮৯ হাজার ৫৬৬টি পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। ফলে স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে অন্তত ৩৩ হাজার ৮১৬টি পশু দেশের বিভিন্ন এলাকার কোরবানীর পশুর হাটে পাঠানো যাবে। এ বছর জেলার ৭হাজার ৭০৮টি ছোট বড় খামারে কোরবানীর পশু প্রস্তুত করা হয়েছে।
 আরও জানা গেছে, জেলার ৭ হাজার ৭০৮ টি ছোট বড় খামারে এ বছর কোরবানী যোগ্য গরু প্রস্তুত হয়েছে ৩০ হাজার ১১৭টি, মহিষ ২৩২টি, ছাগল ৫৮ হাজার ৭৪০টি, ভেড়া ৪৭৩টি ও অন্যান্য পশু ৪টি প্রস্তুত হয়েছে। অর্থাৎ গরু থেকে ছাগল বেশি প্রস্তুত হয়েছে ২৮হাজার ৬২৩টি।
 গতকাল ১লা জুন রাজবাড়ী শহরের বিনোদপুরে পৌর পশুরহাট ঘুরে দেখা গেছে, জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে ট্রাক, নসিমন, ভটভটিসহ নানা রকম যানবাহনে হাটে পশু নিয়ে আসছেন ব্যবসায়ীরা। হাটে আগত গরুর বেশির ভাগই দেশী। এছাড়া হাটে মাঝারি গরুর সংখ্যা বেশি। বেশির ভাগ ক্রেতার অভিযোগ, গরু-ছাগলের চড়া দাম হাঁকা হচ্ছে। ফলে হাট ঘুরে পশু না কিনেই ফিরে যেতে হচ্ছে অনেক ক্রেতাকে। 
 গরু বেপারী বাধন শেখ বলেন, গরুর যে দামে কেনা তার থেকেও দাম কম বলছে ক্রেতারা। গরু অনুযায়ী গরুর দাম অনেক কম বলে এজন্য তেমন বেচাকেনা হচ্ছে না। দেশী মাঝারি গরু কেনার লোকের সংখ্যা এখানে বেশি। 
 আরেক বিক্রেতা আকরাম বলেন, ৮টি গরু এনেছিলাম ৩টি বিক্রি করছি। বড় গরুর চাহিদা কম এখানে। তবে কেনার থেকে দাম শোনার লোকের সংখ্যা বেশি।
 ছাগল বিক্রেতা রতন বলেন, ৪টি ছাগল এনেছিলাম। ২টি বিক্রি করেছি। আবহাওয়া খারাপ ক্রেতা কম তাই ফিরে নিয়ে যাচ্ছি। বড় ছাগলের ক্রেতা নেই। সবাই শুধু দাম শোনে। 
 গরু কিনতে আসা রাব্বি বলেন, আজ আব্বার সাথে হাটে এসেছিলাম দেখতে। ২টি গরু পছন্দ হলো কিন্তু যে দাম চাচ্ছে মনে হচ্ছে গত বছর থেকে অনেক বেশি। তাই আজ কিনলাম না। আগামী দিনে আবার আসবো। 
 জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ প্রকাশ রঞ্জন বিশ্বাস বলেন, গরুর হাটে আমাদের মেডিকেল টিম কাজ করছে। প্রাকৃতিক খাবারে গরু পালনে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কোন হরমোন বা কেমিকেল যাতে ব্যবহার না করে তারও পরামর্শ দিয়েছি আমরা। আমার বিশ্বাস তারা এটা কখনো করবে না। আজকের এই হাটে যে গরুগুলো উঠেছে সেগুলো সম্পূর্ণ সুস্থ গরু। আমরা এসে অসুস্থ কোন গরুকে দেখতে পাইনি। হাটে দেশী গরুর সংখ্যা বেশি। 
 পুলিশ সুপার কামরুল ইসলাম বলেন, সকাল থেকে যতখন পর্যন্ত পশু হাটে থাকে ততখন পর্যন্ত পুলিশ ওই হাটে থাকবে এবং টহল দিবে। চাঁদাবাজি ও হয়রানী যাতে না হতে পারে, সেদিকে আমাদের বিভিন্ন পরিকল্পনা রয়েছে। যদি জাল নোটের কোন বিষয় যদি কারো নজরে আসে তাহলে থানা পুলিশকে জানালে আইনগত যে ব্যবস্থা সেটা করবো।

ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে দৌলতদিয়া ঘাটের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে এসপি
রাজবাড়ীতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে আর্থিক সহযোগিতার চেক বিতরণ
রাজবাড়ীতে ভূমি ব্যবস্থাপনা বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
সর্বশেষ সংবাদ