রাজবাড়ী শহরে শিশুদের একমাত্র বিনোদন কেন্দ্র রাজবাড়ী শিশু পার্ক। দীর্ঘদিন ধরে জরাজীর্ণ অবস্থায় থাকা শিশু পার্কটিতে সম্প্রতি উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। পবিত্র ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে উন্নয়ন কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে।
শিশুদের বিনোদনের কথা মাথায় রেখে রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক সুলতানা আক্তারের হস্তক্ষেপে পুনরায় প্রাণ ফিরে পাচ্ছে পার্কটি। নতুন রূপে শিশুদের জন্য বিভিন্ন রাইড দিয়ে সাজানো হয়েছে পার্কটিতে।
গতকাল ১লা জুন বিকেলে রাজবাড়ী পৌরসভার ৩নং বেড়াডাঙ্গায় অবস্থিত রাজবাড়ী শিশু পার্কে গিয়ে এই চিত্র দেখা গেছে।
সরজমিনে দেখা যায়, জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে রাজবাড়ী শিশু পার্কের সামনের গেইট নতুন করে রং করা হয়েছে। ভিতরে প্রবেশ করে দেখা যায় দীর্ঘদিন ধরে জরাজীর্ণ থাকা শিশু পার্কটির চারপাশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে। সৌন্দর্য বর্ধনে নতুন ফুলগাছ লাগানো হয়েছে। শিশুদের জন্য বিভিন্ন প্রকার রাইড যেমন- চড়কি, বিমান, মেরিন ঘোরা, ট্যাম্পোলিং, ফ্লাওয়ার কাপ, নাগরদোলা, ট্রেন, বাউন্সি স্লিপার/হাউজসহ আরও নানা ধরণের রাইড রয়েছে।
এছাড়াও নতুন কয়েকটি রাইড বসানোর কাজ চলছে। অভিভাবকরা তাদের বাচ্চাদের বিনোদন দেওয়ার জন্য পার্কে নিয়ে আসছেন। বিভিন্ন বয়সি শিশুরা পার্কে এসে তারা রাইডগুলোতে চড়ছে ও উপভোগ করছে। এছাড়াও পার্কের মধ্যে ফুচকা ও চটপটির দোকানও রয়েছে।
জানা গেছে, রাজবাড়ী পৌরসভার ৩নং বেড়াডাঙ্গা এলাকায় অবস্থিত শিশু পার্কটি সার্বিক তত্ত্বাবধানে রয়েছে রাজবাড়ী জেলা প্রশাসন। এটি জেলা প্রশাসন থেকে ইজারার মাধ্যমে ৩বছরের জন্য ভাড়া দেওয়া হয়েছে। শিশু পার্কের প্রবেশ মূল্য ধরা হয়েছে ২০টাকা। ৩বছর বয়স থেকে সকলের জন্য টিকিট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত শিশু পার্ক খোলা থাকবে। শিশু পার্কে থাকা রাইডগুলোর মধ্যে বাউন্সি স্লিপার রাইডের মূল্য ৫০ টাকা, আর চড়কি, বিমান, মেরিন ঘোরা, ট্যাম্পোলিং, ফ্লাওয়ার কাপ, নাগরদোলা, ট্রেনের রাইড গুলো ৩০ টাকা মূল্য রাখা হয়েছে।
রাজবাড়ী শিশু পার্কের ইজারাদার মোস্তাফিজুর রহমান প্লাবন বলেন, রাজবাড়ীতে শিশুদের জন্য বিনোদন কেন্দ্র নেই বললেই চলে। একটা শিশু পার্ক থাকলেও তা ছিল জরাজীর্ণ। আমি পার্কটি জেলা প্রশাসনের থেকে লিজ নিয়ে চালাচ্ছি। কিন্তু পার্কটির আধুনিকায়নে এতদিন তেমন কোন গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। সাম্প্রতিক সময়ে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পার্কটি আধুনিকায়নের জন্য কিছু কাজ করা হয়েছে। নতুন রাইড বসানো হচ্ছে। আশা করছি পার্কটিতে আধুনিকতার ছোঁয়া লাগলে এখানে বাচ্চাদের আনাগোনা বাড়বে। পার্কটি আবার প্রাণ ফিরে পাবে।
রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক সুলতানা আক্তার বলেন, রাজবাড়ী ছোট্ট একটি শহর। শিশুদের বিনোদনের জন্য একটি শিশু পার্ক রয়েছে। শিশু পার্কটি সৌন্দর্য বর্ধন ও আধুনিকায়নের জন্য আমরা কাজ করছি।