রাজবাড়ী জেলার পাংশা মডেল থানা পুলিশ গত ১৭ই ফেব্রুয়ারী বিকেলে উপজেলার মৌরাট ইউপির জাগির মালঞ্চি গ্রামের কৃষক শাজাহান মৃধার খড়ের পালায় পরিত্যক্ত অবস্থায় দেশীয় তৈরি ১টি ওয়ান সুটার গান ও ১রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করেছে।
অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের পর পাংশা থানা পুলিশ ঘটনার মোটিভ উদঘাটনসহ জড়িতদের বিষয়ে তথ্যানুসন্ধ্যান চালাচ্ছে।
জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পাংশা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেনের নেতৃত্বে এসআই ননী গোপালসহ সঙ্গীয় পুলিশ প্রথমে জাগির মালঞ্চি গ্রামের গফুর মৃধার বসতঘরে তল্লাশী চালায়। পরে পুলিশ বাড়ীর পেছনে শাজাহান মৃধার খরের পালায় পরিত্যাক্ত অবস্থায় দেশীয় তৈরি ১টি ওয়ান সুটার গান ও ১রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করে।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে সরেজমিনে গেলে শাজাহান মৃধা জানায়, ২০১৮ সালের ১৭ই জুন (পবিত্র ঈদের দিন) সকাল ৭টার দিকে জায়গা জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে রেজাউল মৃধার ছেলে মিরাজ মৃধার নেতৃত্বে তার অনুসারী লোকজন ছাত্তার মৃধা (৫৭)কে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী রাশিদা পারভীন বাদী হয়ে মিরাজ মৃধা ও সাঈদ মৃধাসহ ১৭জনকে এজাহারনামীয় ও অজ্ঞাতনামা আরও ৪/৫ জনকে আসামী করে পাংশা মডেল থানায় মামলা নং-৯, তাং- ১৭/০৬/২০১৮ খ্রিঃ ধারাঃ ১৪৩/৩০২/৩০৭/৩২৬/৩২৫/৩২৪/৩২৩/৪৪৭/৪২৭/১১৪/৩৪ পেনাল কোড মামলা দায়ের করে। পুলিশ মামলার তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশীট দাখিল করে। মামলাটি দায়রা মামলা নং-৪১২/১৯ হিসেবে আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। আগামী ২৫শে ফেব্রুয়ারী এ মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের দিন রয়েছে।
কৃষক শাজাহান মৃধা আরো জানায়, তার চাচা ছাত্তার মৃধা হত্যা মামলার আসামীরা বাদী পক্ষের লোকজনের ফাঁসাতে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। ঘটনার পর থেকে আমরা মামলার বাদী রাশিদা পারভীন, গফুর মৃধা, মিজানুর রহমান, শাজাহান মৃধা, জাহাঙ্গীর মৃধা ও শরিফুল মৃধাসহ পরিবারের লোকজন ও ছাত্তার মৃধা হত্যা মামলার স্বাক্ষীগণ আতংকের মধ্যে রয়েছি। এরই ধারাবাহিকতায় প্রতিপক্ষের ষড়যন্ত্রে খড়ের পালা থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় দেশীয় তৈরি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
ভূক্তভোগী শাজাহান মৃধা ও তার পরিবারের লোকজন ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করেন।
পাংশা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন ও এসআই ননী গোপাল পরিত্যক্ত অবস্থায় দেশীয় তৈরি ১টি ওয়ান সুটার গান ও ১রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধারের তথ্য নিশ্চিত করেন। ঘটনার মোটিভ উদঘাটনসহ জড়িতদের বিষয়ে তথ্যানুসন্ধ্যান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান ওসি মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন।