ঢাকা বুধবার, মে ৮, ২০২৪
প্রাথমিকের নিয়োগ বিধি সংশোধনের দাবিতে গোয়ালন্দে স্মারকলিপি পেশ
  • মইনুল হক মৃধা
  • ২০২১-০৮-১৩ ১৩:১০:০০
গোয়ালন্দে গতকাল ১২ই আগস্ট গোয়ালন্দ উপজেলার শিক্ষা অফিসার মোঃ কবির হোসেনের মাধ্যমে মহাপরিচালক, সচিব ও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করে বাংলাদেশ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ -মাতৃকণ্ঠ।

সচিব কমিটিতে পাস হওয়া ‘প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের গেজেটেড অফিসার ও নন-গেজেটেড কর্মচারী নিয়োগ বিধিমালা-২০২১’ এ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের পদোন্নতির বিধান যুক্ত না করায় তা সংশোধনের দাবিতে রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দে গতকাল ১২ই আগস্ট গোয়ালন্দ উপজেলার শিক্ষা অফিসার মোঃ কবির হোসেনের মাধ্যমে মহাপরিচালক, সচিব ও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে বাংলাদেশ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতি। 

  বাংলাদেশ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় কর্মসূচী অনুযায়ী স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের গোয়ালন্দ উপজেলা শাখার সভাপতি সুশীল কুমার রায়, সাধারণ সম্পাদক মোমিনুল ইসলাম, শিক্ষক নজরুল ইসলাম, বাবর আলী, সাহজাহান সিরাজ, রোজিনা খাতুন, তৃপ্তি বিশ্বাস, আসমা খাতুন, বিলকিস বেগম, শাহনাজ পারভিন প্রমুখ। এ সময় উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মোঃ আজিজুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। 

  স্মারকলিপিতে বলা হয়, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের গেজেটেড অফিসার ও নন-গেজেটেড কর্মচারী নিয়োগ বিধিমালা-১৯৮৫ অনুযায়ী প্রধান শিক্ষক থেকে উপরের পদে পদোন্নতি হতো। কিন্তু পরবর্তীতে ১৯৯৪ সালের ১৯ ডিসেম্বর এক সংশোধনী গেজেট প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রধান শিক্ষকদের পদোন্নতি বন্ধ করা হয়। যা প্রধান শিক্ষকদের কাছে একটি ‘কালো আইন’ নামে পরিচিত। ফলে প্রধান শিক্ষক পদটি দীর্ঘ ২৭ বছর ধরে ‘ব্লক পোস্ট’ হিসেবে রয়েছে।

  সংশোধিত ‘প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের গেজেটেড অফিসার ও নন-গেজেটেড কর্মচারী নিয়োগ বিধিমালা-২০২১’ এ দুইটি পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রধান শিক্ষকদেরকে শুধু বিভাগীয় প্রার্থী হওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে। এসব পদে আবেদনের বয়সসীমা রাখা হয়েছে ৪৫ বছর। ফলে খুবই অল্পসংখ্যক প্রধান শিক্ষক এসব পদে আবেদন করার সুযোগ পাবেন। ২০১৪ সালের ৯ই মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদেরকে দ্বিতীয় শ্রেণীর গেজেটেড পদমর্যাদা প্রদান করলেও তা এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। এতে ১০ম গ্রেডসহ দ্বিতীয় শ্রেণীর গেজেটেড পদমর্যাদার সুফল ভোগ করতে পারছেন না প্রধান শিক্ষকরা। আবার দ্বিতীয় শ্রেণীতে উন্নীত হওয়ায় প্রধান শিক্ষকরা তাদের বকেয়া টাইমস্কেলও পাচ্ছেন না বলে স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়। এ ছাড়াও চলতি দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদেরকে স্থায়ী পদোন্নতি দেওয়ারও দাবি জানান তারা।

পাংশা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত নির্বাচনী ব্রিফিং
পাংশা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কেন্দ্রে পৌঁছেছে ভোটের সরঞ্জাম
বিদেশে পাঠানোর নামে প্রতারণার অভিযোগে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় ভূক্তভোগীদের অভিযোগ
সর্বশেষ সংবাদ