পোড়া তেলে করা হচ্ছিল রান্না। বিক্রির জন্য রাখা হয়েছিল বাসি খাবার। কিন্তু বিধিবাম। হঠাৎই হোটেলটিতে হানা দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত। হাতে নাতে ধরা পড়ে এ অনিয়ম।
গতকাল ১৬ই আগস্ট দুপুরে রাজবাড়ী শহরের বড়পুল এলাকার মুঘল রেঁস্তোরা ও বিরিয়ানি ঘরে এ ঘটনা ঘটে।
পরে বাংলাদেশ হোটেল ও রেস্তেরাঁ আইন, ২০১৪-এর ৭ ধারা লঙ্ঘন করে লাইসেন্স ছাড়া ব্যবসা পরিচালনা করার দায়ে একই আইনের ১৯ ধারায় হোটেল মালিককে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শিবরাজ চৌধুরী। জেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর সূর্য্য কুমার প্রামাণিকসহ সদর থানা পুলিশের সদস্যরা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় সহযোগিতা করেন।
এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শিবরাজ চৌধুরী জানান, মুঘল রেঁস্তোরা ও বিরিয়ানি ঘরে অভিযান চালিয়ে দেখা গেছে, খাবার তৈরিতে তারা পোড়া তেল ব্যবহার করেছে এবং আগের অবিক্রিত বাসি গ্রিল চিকেন বিক্রির জন্য ফ্রিজে সংরক্ষণ করে রেখেছে। এছাড়া হোটেল বা রেঁস্তোরা পরিচালনার জন্য তাদের কোনো নিবন্ধন ও লাইসেন্স নেই। যে কারণে বাংলাদেশ হোটেল ও রেঁস্তোরা আইন, ২০১৪-এর ৭ ধারা আইনের ১৯ ধারায় হোটেল মালিককে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
হোটেল মালিক মোঃ সিরাজুল ইসলাম বলেন, গত ১৫ই আগস্ট সরকারী ছুটি ও বিকেলে বৃষ্টির কারণে ওইদিন আমাদের বিক্রি কম হয়। যে কারণে আমাদের অল্প কিছু গ্রিল চিকেন ফ্রিজিং করা ছিল। আর পোড়া তেলটাও আমরা প্রতিদিন ফেলে দেই। কিন্তু গতকাল একটু বেশি রাত হয়ে যাওয়াতে তেলটা আর ফেলা হয়নি। এছাড়া আমাদের আর কোনো ত্রুটি নেই। ভবিষ্যতে আমরা খাবার তৈরিতে আরও বেশি সচেতন থাকবো।