এলজিইডি রাজবাড়ী জেলা কার্যালয়ের উচ্চমান সহকারী খোন্দকার আশরাফুল হক ফরিদ(৫৫) ইন্তেকাল করেছেন(ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
গত ১৯শে জুন দিনগত রাত ১২টার দিকে গুরুতর অবস্থায় পরিবারের সদস্যরা তাকে রাজবাড়ী জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ১ ছেলে ও ১ মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
জানা গেছে, গত ১৯শে জুন খোন্দকার আশরাফুল হক ফরিদ জ্বর ও ঠান্ডা নিয়ে অফিসে আসেন এবং শারীরিকভাবে অসুস্থতা অনুভব করলে দুপুরে তিনি বাসায় চলে যান। এরপর থেকেই তিনি শারীরিক বুকে ব্যাথাসহ অসুস্থতায় ভুগছিলেন। রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাজবাড়ী শহরের উপকণ্ঠে(সদর উপজেলা কৃষি অফিস সংলগ্ন রামকান্তপুরে) ভাড়া বাসায় তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরিবারের সদস্যরা তাকে রাত ১২টার দিকে রাজবাড়ী জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে হাসপাতালের জরুরী বিভাগে ইসিজি ও অন্যান্য চেকআপ করে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।
পরিবারের সদস্যরা জানায়, খোন্দকার আশরাফুল হক ফরিদ দীর্ঘদিন যাবৎ কিডনি রোগসহ জটিল রোগে ভুগছিলেন এবং গত ৩দিন যাবৎ জ¦রে আক্রান্ত হন। আগামী ২০২৯ সালের এপ্রিল মাসে তার অবসরে যাওয়ার কথা ছিল।
গতকাল ২০শে জুন শুক্রবার সকাল ১০টায় খোন্দকার আশরাফুল হক ফরিদের প্রথম জানাযা রাজবাড়ী সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে অনুষ্ঠিত হয়। পরে তার মরদেহ পাংশা শহরের হাজরাপাড়া নিজ বাড়ীতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে বাদ জুম্মা তার দ্বিতীয় জানাযা শেষে হাজরাপাড়া কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। জানাযা’তে রাজবাড়ী এলজিইডি’র কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সর্বস্তরের মানুষ অংশ নেয়।
উচ্চমান সহকারী খোন্দকার আশরাফুল হক ফরিদের মৃত্যুতে রাজবাড়ী এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ ইউসুফ হোসেন এবং এলজিইডি’র অন্যান্য কর্মকর্তাগণ গভীর শোক প্রকাশ করাসহ শোকাহত পরিবারবর্গের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।