নিউইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশীদের নিয়ে ৫৪তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২৪ উদযাপন হয়েছে।
 গত ২৮শে মার্চ মিশনের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপনের বর্ণিল এ আয়োজন, যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশীদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলে।
 বঙ্গবন্ধু মিলনায়তন পরিণত হয় যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের মিলন মেলায়।
 অনুষ্ঠানে বক্তব্যের শুরুতে জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীনতার মহান স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের শহীদ সব সদস্য, মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহীদ, দুই লাখ মা-বোন এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।
 রাষ্ট্রদূত মুহিত জাতির পিতার নেতৃত্বে দীর্ঘ তেইশ বছরের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন। এসময় তিনি জাতির পিতার দূরদর্শী নেতৃত্ব ও কূটনৈতিক প্রজ্ঞার বিষয়ে আলোকপাত করেন।  
 এছাড়াও তিনি জাতিসংঘের বহুপাক্ষিক কূটনীতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব অগ্রগতি ও অসামান্য সাফল্যগাঁথা তুলে ধরেন।  
 রাষ্ট্রদূত মুহিত বলেন, বাংলাদেশ আজ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ও বিশ্বস্ত নাম। আজ বিশ্ব শান্তিরক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য, বিশ্বস্বাস্থ্য, নারীর ক্ষমতায়নসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নেতৃস্থানীয় ভূমিকা পালন করছে।  
 প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে জাতিসংঘ স্থায়ী মিশন বহুপাক্ষিক ফোরামে কাজ করে যাবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয় এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের পবিত্র আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করা হয়।
 এছাড়া বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয় এবং মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২৪ উপলক্ষ্যে কেক কাটা হয়।
 যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশীদের সম্মানে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে অংশ নেন প্রবাসী বীর মুক্তিযোদ্ধা, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতিসহ আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ ও আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, নিউইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্টে কর্মরত বাংলাদেশি আমেরিকান পুলিশ কর্মকর্তাবৃন্দ, কবি, শিল্পী, সাংবাদিক ও সাহিত্যিকসহ বরেণ্য প্রবাসী বাংলাদেশীরা।  
 মিশন আয়োজিত স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানের প্রশংসাও করেন তারা। প্রবাসী বাংলাদেশীদের সংবর্ধনার আগে জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে দিবসটির আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।
 এ সময় দিবসটি উপলক্ষ্যে দেওয়া রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়।
 প্রবাসীদের নিয়ে এ আয়োজনের আগে গত ২৬শে মার্চ জাতিসংঘে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও জাতিসংঘ সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দসহ দেড় শতাধিক কূটনীতিকের অংশগ্রহণে জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করা হয়। সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি ডেনিস ফ্রান্সিস।