রাজবাড়ী সদর উপজেলার মূলঘর ইউনিয়নে দলীয় নেতাকর্মীদের চাঙ্গা ও উজ্জীবিত রাখতে প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নে পর্যায়ক্রমে কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
এরই অংশ হিসেবে গতকাল ২১শে জানুয়ারী বিকালে মূলঘর ইউনিয়নের রশোড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ৬নং ওয়ার্ড বিএনপির কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মূলঘর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোঃ বাচ্চু শেখের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলার বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক কে.এ সবুর শাহীন।
ইউনিয়ন বিএনপি নেতা মোঃ রুবেল মন্ডলের সঞ্চালনায় কর্মী সভায় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল মান্নান মোল্লা, বিএনপি নেতা হাজিফুর রহমান হিরু, মূলঘর ইউপি সদস্য কাজী মোঃ ফরিদ উদ্দিন, বিএনপি নেতা মাহাতাব উদ্দিন মানিক, ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য ফজলুল হক শেখ, বিএনপি নেতা শফিকুল ইসলামসহ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
সভায় মূলঘর ৬নং ওয়ার্ড বিএনপি’র কয়েকশত নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।
কর্মী সভায় বক্তারা বলেন, দীর্ঘ ১৬টি বছর স্বৈরাচারী কায়দায় ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার ভোটার বিহীন সরকার দেশে ভিন্নমতের মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছিল। দেশের জনগণ গত পনের বছরে যতগুলো স্থানীয় নির্বাচন থেকে শুরু করে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে তাতে ভোট দিতে পারেননি। এই নির্বাচনগুলো ছিল আইওয়াশ, তারা দিনের ভোট রাতেই দিয়ে ভোটের বাক্স ভরে রাখত।
তারা উন্নয়নের নামে দেশের জনগণের হাজারো লক্ষ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে একেক জন আঙ্গুল ফুলে গলাগাছ বুনেছেন। আওয়ামী লীগের এই দীর্ঘ শাসনামলে জালিম সরকার হাজার হাজার বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা ও গুম খুনের রাজনীতি করেছে। কিন্তু গত ৫ই আগষ্ট ছাত্রজনতার গণআন্দোলনের মুখে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছেড়ে পার্শবর্তী দেশ ভারতে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। এখন ভারতের মাটিতে বসে বর্তমান বিজেপি সরকারের ছত্রছায়ায় শেখ হাসিনা বর্তমান বাংলাদেশের অন্তর্বতী সরকারকে অস্থিতিশীল করতে একের পর এক ইন্দন দিয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের পায়ঁতারা করছে।
বক্তারা আরো বলেন, সাংগঠনিক তৎপরতা বাড়িয়ে দলকে তৃণমূল থেকে কেন্দ্রীয় পর্যায়ে শক্তিশালী করে নির্বাচনীর মাঠে নামার প্রস্তুতি চলছে। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জেলা, উপজেলায় কাউন্সিলের মাধ্যমে নেতৃত্ব বাছাই হচ্ছে। সেই সাথে ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে বিএনপির কমিটিগুলো শক্তিশালী করতে কেন্দ্র থেকে নির্দেশনা রয়েছে। উদ্দেশ্য একটাই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলকে বিজয়ী করে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেওয়া।