পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশীপ কর্তৃপক্ষের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সরকারের সচিব মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম গতকাল ৩রা মে ঢাকা বাইপাস সড়কের পিপিপি প্রকল্পের কার্যক্রমের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শনকালে প্রকল্পের কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য প্রজেক্ট কোম্পানী কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেন।
জানা গেছে, এই পিপিপি প্রকল্পের মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জের মদনপুর হতে গাজীপুরের ভোগড়া পর্যন্ত ৪৫ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ কাজ হচ্ছে। এর মধ্যে ১৮ কিলোমিটার কাজ পরিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। বাকি অংশের কাজ চলমান রয়েছে। প্রকল্পটি বর্তমান ২০২৫ সালের জুলাই মাসের মধ্যে সম্পন্ন হবার কথা ছিল কিন্তু এখন পর্যন্ত প্রকল্পের ভৌত অগ্রগতি হয়েছে ৭২ পার্সেন্ট। প্রকল্পের বাকি অংশের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য পিপিপিএ’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা(সচিব) মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম প্রজেক্ট কোম্পানী কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা প্রদান করেন।
এ সময়ে বলেন, নির্ধারিত সময়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন না হলে সরকার ও বেসরকারী বিনিয়োগকারী এবং সেবাপ্রার্থী জনগণ সকলেই ক্ষতিগ্রস্ত হন।
প্রকল্প কোম্পানীর চিফ অপারেটিং অফিসার এ সময় জানান, কিছু বাস্তবসম্মত কারণে প্রকল্পটি এ বছর জুলাই মাসের মধ্যে সম্পন্ন করা যাচ্ছে না। তবে সরকার অনুমতি দিলে সম্পন্ন ১৮ কিলোমিটার এক্সপ্রেসওয়ে ভোগরা থেকে পূর্বাচল পর্যন্ত অংশ আগামী ঈদের আগে বাণিজ্যিকভাবে চালু করা যেতে পারে। প্রকল্পের নির্মাণাধীন অংশে ভূমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত কিছু জটিলতা রয়েছে। এগুলো দূর করার জন্য প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা প্রদান করেন। এ ছাড়াও প্রকল্পের নির্মাণাধীন অংশে পল্লী বিদ্যুতের কিছু পোল অপসারণ করা প্রয়োজন। প্রকল্পটি পরিদর্শনের সময় দেখা যায় যে সম্পন্ন অংশের আইল্যান্ডে স্থাপিত কিছু এন্টি ক্লিয়ার স্ক্রিন কে বা কারা নিয়ে গেছে। এ বিষয়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অবগত করানোর জন্য প্রকল্প কোম্পানীর নির্বাহীগণকে অনুরোধ করা হয়। এছাড়াও প্রকল্প এলাকার জনসাধারণের সাথে গণ সংযোগ করে সম্পন্ন প্রকল্পের যাতে কোন ধরনের ক্ষয়ক্ষতি না হয় সেজন্য স্থানীয় লোকের সহযোগিতা গ্রহণের পরামর্শ প্রদান করা হয়।
পরিদর্শনের সময়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এরশাদ হোসেন, ঢাকা বাইপাস প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক আসলাম আলী, পিপিপি’র পরিচালক আবু কায়সার খান ও প্রজেক্ট কোম্পানীর চিফ অপারেটিং অফিসার শফিকুল ইসলামসহ প্রকল্প কোম্পানীর অন্যান্য নির্বাহীরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য পিপিপি পদ্ধতিতে ২০১৮ সালে সড়ক ও জনপথ বিভাগ বিনিয়োগকারী কোম্পানী সিচুয়ান রোড এন্ড ব্রিজ গ্রুপের সাথে চুক্তি করে।