ঢাকা শুক্রবার, মে ১০, ২০২৪
একদিনের পারিশ্রমিকেও মিলছে না একটি তরমুজ
  • মইনুল হক মৃধা
  • ২০২১-০৫-০১ ১৬:৫২:১১

রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ বাজার, দৌলতদিয়া বাজার, খানখানাপুর বাজারসহ বিভিন্ন বাজারে সর্বত্রই কেজি ও পিসসহ অতিরিক্ত দামে তরমুজ বিক্রি হচ্ছে। 

  স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ছোট আকারের তরমুজ ২শ ও বড় আকারের তরমুজ ৪/৫শ টাকা পিছে বিক্রি করছে। এতে করে বেশী ভোগান্তিতে পড়েছে নিম্নআয়ের প্রাণন্তীক জনগোষ্ঠী।

  রিক্সা চালক সালাম সেখ বলেন, করোনার এই ক্রান্তিলগ্নে সরকার ঘোষিত লকডাউন চলছে এতে করে আয়-রোজগার তেমন নেই বল্লেও চলে তার উপর রমজান মাস চলছে। বাজারে তরমুজ ভরপুর থাকলেও কিনতে সাহস পাইনা কারণ একটা তরমুজের যে দাম তা সারাদিনে আয়ও করতে পারি না। সারাদিন যা আয় করি তা দিয়ে যদি তরমুজ কিনি তাহলে বউ পোলাপান নিয়ে উপোস থাকতে হবে। আমাদের মত গরীব মানুষের তরমুজ খাওয়া মানে বিলাসিতা করা। বউ পোলাপান তরমুজ খাইতে চাইছে তাই তিনদিন কিছু কিছু করে জমা করেও একটা তরমুজ কিনতে পারি নাই।

  উপজেলার কাটাখালী এলাকার বাসিন্দা আব্দুল কামাল ও শামচুল সেখ নামে দুই ব্যক্তি আক্ষেপ করেই বলেন গোয়ালন্দ বাজার থেকে আজকেও ৪৫ টাকা কেজি দরে তরমুজ ক্রয় করেছি। শুনেছি প্রশাসন ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে। তরমুজ কেজি দরে বিক্রি করতে নিষেধ করেছে তাতে কোন লাভ হয়নি ব্যবসায়ীরা কেজি দরেই তরমুজ বিক্রয় করে চলছে।

  রাজবাড়ী সদর উপজেলার চরখানখানাপুর এলাকার কালাম ফকির বলেন, খানখানাপুর হাট থেকে একটা তরমুজ কিনতে গিয়ে দেখি প্রতি কেজি তরমুজ বিক্রি করছে ৫০/৬০ টাকা। এতো দামি তরমুজ কি ভাবে কিনবো। তারপর ছোট সাইজ দেখে ৩ কেজি ওজনের একটা তরমুজ কিনলাম। তার দাম নিলো ১৬০ টাকা।

  গোয়ালন্দ উপজেলার সহকারী কমিশনার(ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, অতিরিক্ত দামে তরমুজ বিক্রি করার কোন সুযোগ নেই। বাজারের সকল ফল ব্যবসায়ীকে অতিরিক্ত মূল্যে পণ্য বিক্রি না করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আমরা সবসময় বাজার মনিটরিং করতেছি। যদি কেউ প্রতি কেজি ৩২ থেকে ৩৫ টাকার ওপরে তরমুজ বিক্রি করে তবে তাকে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

পাংশা-কালুখালী উপজেলা নির্বাচনে ভোট কেন্দ্র পরিদর্শনে ডিসি-এসপি
বিশ্ব রেডক্রস-রেড ক্রিসেন্ট দিবসে রাজবাড়ীতে র‌্যালী-আলোচনা সভা
পাংশা ও কালুখালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আজ ভোট
সর্বশেষ সংবাদ