ভারি বর্ষন ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে রাজবাড়ী জেলার পাশ দিয়ে প্রবাহিত পদ্মা নদীর পানি দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৩টি পয়েন্টের মধ্যে দুটি পয়েন্টের পানি বিপদসীমার ওপরে থাকলেও গতকাল ২০শে আগস্ট রাজবাড়ী জেলার তিনটি পয়েন্টের পাদ্মা নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
গতকাল ২০শে আগস্ট সকালে পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে এসব তথ্য জানা যায়।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সকাল ৬টায় পরিমাপকৃত তথ্য অনুয়ায়ী হঠাৎ করে রাজবাড়ী সবগুলো পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।
এতে গত ২৪ ঘন্টায় রাজবাড়ীর তিনটি গেজ স্টেশনের মধ্যে পাংশা সেনগ্রাম গেজ স্টেশন পয়েন্টে পদ্মার পানি ৯ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৭৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়াও সদরের মহেন্দ্রপুর গেজ স্টেশন পয়েন্টে ১০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৪ সেন্টিমিটার ও গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া গেজ স্টেশন পয়েন্টে ৯ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৩৪ সেন্টিমিটার ওপর রয়েছে।
এদিকে পানি বিপদসীমা অতিক্রম করায় নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলগুলোতে পানি ঢুকতে শুরু করেছে।
এছাড়াও নদীতে তীব্র স্রোত থাকায় ভাঙন আতংকে রয়েছে রাজবাড়ীর জেলার কয়েকটি গ্রামের হাজারো পরিবার।
রাজবাড়ীর পানি উন্নয়ন বোর্ড(পাউবো’র) নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল আহাদ বলেন, পদ্মা নদীর পানি ভয়াবহ আকারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এভাবে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া লঞ্চঘাট ও ফেরী ঘাটসহ জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হবে। বিশেষ করে কালুখালী উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের হরিণবাড়িয়া ও রতনদিয়া, গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ও দেবগ্রাম ইউনিয়ন, সদরের বরাট, সেলিমপুর, খানগঞ্জ ও মিজানপুরের কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়বে।
রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগম বলেন, পদ্মার পানি বৃদ্ধি অব্যহত রয়েছে। এতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশংকা করা যাচ্ছে। তবে বন্যা মোকাবেলায় আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পূর্ণ আছে।