ঢাকা রবিবার, মে ৫, ২০২৪
রাজবাড়ীর বসন্তপুরে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ অনুষ্ঠিত
  • দেবাশীষ বিশ্বাস
  • ২০২১-০৮-২৭ ১৪:২৩:১১
রাজবাড়ী সদর উপজেলার বসন্তপুর ইউনিয়নের হড়াই নদীতে গতকাল শুক্রবার বিকেলে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় -মাতৃকণ্ঠ।

রাজবাড়ী সদর উপজেলার বসন্তপুর ইউনিয়নের হড়াই নদীতে গতকাল শুক্রবার বিকেলে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

  রাজবাড়ী সদর উপজেলার সৈয়দা সামসুন্নাহার স্মৃতি সংঘের উদ্যোগে মুচিদহ-রতনদিয়া বালুর ঘাট এলাকায় নৌকা বাইচ অনুষ্ঠিত হয়। নৌকা বাইচ দেখতে আসা প্রায় ৫০ হাজার দর্শকের উপস্থিতিতে করতালি, বাদ্যযন্ত্রের ধ্বনী, বৈঠার তাল ও জারি-সারি গানে মুখরিত হয় বসন্তপুর ইউনিয়নের মুচিদহ-রতনদিয়া বালুর ঘাট এলাকা। 

  জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে বড় চারটি নৌকা এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। বৈরি আবহাওয়া আর বৃষ্টির উপেক্ষা করে দর্শনার্থীদের উপস্থিতি ছিলো চোখে পড়ার মতো। প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। 

  রাজবাড়ী সদর উপজেলার বসন্তপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মীর্জা বদিউজ্জামান বাবু প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।

  নৌকা বাইচ দেখতে আসা দর্শনাথী মোঃ আলেম শেখ বলেন, একসময় নৌকা বাইচ গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য ছিল। বর্তমানে সেটি বিলুপ্তির পথে। এই কমিটি খুব কষ্ট করে চারটি নৌকা জোগার করে নৌকা বাইচের আয়োজন করেছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে এই বাইচ প্রতিযোগিতা হতো। এখন আর হয় না। আমি এক সময় ১শ হাত নৌকার বাইচ দেখেছি। এখন আর সেটি নাই।

  রাজকুমার বিশ্বাস বলেন, এখানে হাজার হাজার মানুষ উপস্থিত হয়েছে। আমার ধারণা প্রায় ৫০ হাজার মানুষ এই নৌকা বাইচ দেখতে এসেছে। এই নৌকা বাইচ সরকারকে বার্তা দেয়, বিলুপ্ত প্রায় ঐতিহ্য ধরে রাখার।

  নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতার প্রথম স্থান অধিকার করা নৌকার মালিক মোঃ কাশেম শেখ বলেন, নৌকা বাইচে প্রচুর খরচ। কিন্তু এগুলো আমরা চিন্তা করি না। বাপ-দাদায় এই খেলা দেখাইছে। বর্তমানে তাদের ঐতিহ্য ধরে রেখেছি। তিন বছর পর নৌকা বাইচ দিতে আসলাম। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, প্রতি উপজেলায় এই আয়োজন করা গেলে ঐতিহ্য টিকে থাকবে। অন্যথায় বিলুপ্ত হয়ে যাবে।

  সৈয়দ সামসুন্নাহার স্মৃতি সংঘের সভাপতি ও নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতার সভাপতি মীর্জ ফরিদুজ্জামান হাবিবুর বলেন, আমরা চেষ্টা করি প্রতি বছর গ্রাম বাংলার এই ঐতিহ্য ধরে রাখার জন্য আয়োজন করা। কিন্তু সেটি কঠিন হয়ে যাচ্ছে। নৌকা পাওয়া যায় না। যে বড় নৌকাগুলো ছিলো সেগুলো নষ্টের পথে। আমরা প্রতিবছর এই আয়োজনের চেষ্টা করবো।

  রাজবাড়ী সদর উপজেলার বসন্তপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মীর্জা বদিউজ্জামান বাবু বলেন, এই ঐতিহ্য ধরে রাখার জন্য সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে। আজকের এই উপস্থিতি প্রমাণ করে মানুষ এসব ঐতিহ্য ধরে দেখতে চায়। আমি সরকারকে অনুরোধ করবো তারা যেন গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য ধরে রাখার জন্য এগিয়ে আসে।

আগামী দুই মাসের মধ্যে ভাঙ্গা-খুলনা-যশোর পর্যন্ত ট্রেন চালু হবে ঃ রেলপথ মন্ত্রী মোঃ জিল্লুল হাকিম
বসন্তপুরে ইমাম কমিটির উদ্যোগে খাবার স্যালাইন ও শরবত বিতরণ
রাজবাড়ী জেলা পুলিশের উদ্যোগে সাইবার নিরাপত্তা সংক্রান্ত শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত
সর্বশেষ সংবাদ