রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার বহরপুর রেলওয়ের ৩৫ শতাংশ জমি লীজে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
জানাগেছে ইসলামপুর ইউনিয়নের বাড়াদি গ্রামের আলহাজ্ব আঃ মুন্নাফ মিয়া গত ৩/৭/২০১১ইং তারিখে রেলওয়ের বাড়াদি/বহরপুর মৌজার জেএল নং ৬৪/৬৫ বিএস নং ৪০১৩, ৪০১৪ এবং ৪০১৫ আরএস ৩৮০৬, ৩৮০৭ এবং ৩৮০৮ নং দাগের ৩৫ শতাংশ জমি রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চল জোনের পাকশী বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি অফিসে লীজ নেওয়ার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিভাগীয় ভূমি কর্মকর্তার স্বাক্ষরিত ১০১৯৭ নং লাইসেন্স মুলে লীজ প্রদান করেন। সেই থেকে লীজ গ্রহীতা উক্ত জমি ভোগদখল করে আসছেন এবং নিয়মিত খাজনা ও ট্রাক্স রেলওয়ে বিভাগকে পরিশোধ করে আসছেন বলে লীজ গ্রহিতা জানান।
অন্যদিকে রেলওয়ের কতিপয় দুর্নীতিবাজ ও অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজসে বাড়াদি গ্রামের মোঃ জহুরুল ইসলাম কসাই গং উক্ত জমি গোপনে দ্বিতীয় দফায় লীজ গ্রহণ করে কৃষি জমিতে পাকা ঘর নির্মাণ করতে বিভিন্ন জিনিসপত্র নিয়ে আসেন। জমিতে পাকাঘর নির্মাণে প্রথম পক্ষ আঃ মুন্নাফ মিয়ার পুত্রগণ বাঁধা দিতে এলে জহুরুল কসাই গং দেশীয় অস্ত্র শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে প্রথম পক্ষকে ধাওয়া করে। পরে আঃ মুন্নাফ মিয়ার পুত্র মোঃ হান্নান মিয়া বাদী হয়ে গত ২৯শে আগস্ট রাজবাড়ীর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্টেট আদালতে মোঃ জহুরুল কসাই, মেহেদি হাসান, রেজাউল ইসলাম, মোঃ আবু সালাম, মোঃ আসাদ, মোঃ শাকিল খান এবং মোঃ হাফিজ শেখ সহ কয়েকজনকে বিবাদি করে ফৌঃকাঃবিঃ ১৪৪/১৪৫ ধারায় মামলা দায়ের করেন। অভিযোগ তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিল করতে বালিয়াকান্দি থানা পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। বিবাদী মোঃ জহুরুল কসাই গং গত ৫ই অক্টোবর দুপুরে গোপনে পাকশী জোনের ভূমি বিভাগের উচ্চমান সহকারী মোঃ মমতাজ উদ্দিন বাবু এবং উক্ত দপ্তরের বাবুর্চি মোঃ টুকু মিয়াকে ভূয়া কর্মকর্তা সাজিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করান। এ সময় আদালতের জারী করা ১৪৪ ধারা যাতে ভঙ্গ না হয় সে জন্য বালিয়াকান্দি থানার পুলিশ পরিদর্শক(তদন্ত) মোঃ মনিরুজ্জামান খান ও এসআই নাজমুল ইসলাম সহ ফোর্স ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। ঘটনাটি জানাজানি হলে পরিচয়দানকারী দুই ব্যক্তি ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত সটকে পড়ে।
এদিকে রাজবাড়ী রেলওয়ে জোনের ১৪ ও ১৫ নং কাচারীর ফিল্ড কানুনগো মোঃ সাজ্জাদুল ইসলামের নিকট উক্ত দুই কর্মকর্তার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন উক্ত পরিচয়দানকারী দুই ব্যক্তিই ভূয়া কর্মকর্তা।