অসহায় ও দরিদ্র ২২টি পরিবারকে নিয়মিত প্রতিমাসে নিজস্ব অর্থায়নে ২০ কেজি করে চাউল দিচ্ছেন রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মোস্তফা মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ মোস্তফা মুন্সী।জানা যায়, সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর আওতায় উপজেলার চার ইউনিয়নে ১৫ টাকা কেজির চালের কার্ডের সুবিধা মোস্তফা মুন্সী যাদের দিতে পারেননি এমন ২২টি পরিবারকে প্রতি মাসের ৫ তারিখে ২০ কেজি করে চাউল উপহার দিচ্ছেন তিনি। বিগত ৬ মাস যাবত উপকারভোগীরা তার কাছ থেকে এ উপহার পাচ্ছেন।উপকারভোগী নারী আসমা বেগম বলেন, তিনি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা মুন্সীর কাছে ১৫ টাকা কেজি চাউলের কার্ডের জন্য গিয়েছিলাম। চাউলের কার্ডের বরাদ্দ শেষ হওয়ায় তিনি এ কার্ড করে দিতে পারেননি। কিন্তু তিনি আমাকে নিরাস করেননি। নিজের টাকা দিয়ে প্রতিমাসে আমাকে ২০ কেজি টাকা চাউলের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। প্রতি মাসে গোয়ালন্দ বাজারের কাসেমের চাউলের দোকান থেকে এ ২০ কেজি করে চাউল নিচ্ছেন। আসমা বেগম মোস্তফা মুন্সীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং তার জন্য দোয়া করেন।হাবিবুর রহমান নামে আরেক উপকারভোগী বলেন, আমি কার্ডের জন্য মোস্তফা মুন্সীর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন বরাদ্দ শেষ। পরে তিনি তার নিজের পকেটের টাকা দিয়ে প্রতি মাসে আমাকে ২০ কেজি করে চাউল কিনে দিচ্ছেন।গোয়ালন্দ বাজারে নিজের জন্য ওষুধ কিনতে এসেছে উপজেলার উজানচর ইউনিয়ন ১নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রফিক শেখ। এ সময় তিনি বলেন, আমি চাউল বাজারে ঢুকতেই দেখি কাশেমের দোকানে ১০-১৫ জন দরিদ্র নারী ও পুরুষ চাউল নিচ্ছেন। ভিড় দেখে অতি উৎসাহী হয়ে তাদেরকে জিজ্ঞেস করলে তারা বলেন উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা মুন্সী আমাদের কার্ড করে দিতে পারেন নাই বলে প্রতিমাসে তার নিজস্ব তহবিল থেকে আমাদের ২০ কেজি করে চাউল কিনে দেন। তিনি আরও বলেন, প্রতিটি উপজেলায় যদি এরকম দানশীল নেতা থাকতো তাহলে কোন দরিদ্র মানুষ বিপদে পড়তো না। আমি মোস্তফা মুন্সীর জন্য দোয়া করি, তিনি যেন এভাবেই দরিদ্রদের পাশে থেকে উপকার করে যেতে পারে। চাউল বিক্রেতা মোঃ কাশেম সরদার বলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা মুন্সী একজন দানশীল মানুষ। তিনি যাদেরকে ১৫ টাকা কেজি চাউলের কার্ড করে দিতে পারে নাই এরকম ২২টি পরিবারকে প্রত্যেকের মাঝে প্রতি মাসে ২০ কেজি করে চাউল কিনে দেন।চাউল দেবার পর আমি মোস্তফা মেটাল থেকে চাউল বাবদ বিল করে ২৫ হাজার টাকার মতো নিয়ে আসি। আসলে তার মতো এরকম বড় মনের মানুষ আমি দেখিনি। তার কাছে অসহায়রা গেলে কখনো খালি হাতে ফেরত আসেনা। আল্লাহ তাকে ভালো রাখুক।