ঢাকা রবিবার, এপ্রিল ২৮, ২০২৪
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা ইহসানুল করিম হেলালের ইন্তেকাল
  • স্টাফ রিপোর্টার
  • ২০২৪-০৩-১০ ১৩:০৫:১৮

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব প্রখ্যাত সাংবাদিক বীর মুক্তিযোদ্ধা ইহসানুল করিম হেলাল আর নেই।
আজ ১০ই মার্চ রাত ৮টার দিকে তিনি রাজধনীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে(বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। বেশ কিছুদিন ধরে তিনি অসুস্থ ছিলেন।  
 রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা তার মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছেন।
 ইহসানুল করিম ইতিপূর্বে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার(বাসস) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক এবং রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
 হৃদরোগ, শ্বাসকষ্ট, ডায়াবেটিসসহ নানা জটিলতায় আক্রান্ত ইহসানুল করিম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়(বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। রাত ৮টার দিকে সেখানেই তার মৃত্যু হয় বলে পরিবারের সদস্যরা জানান।
 বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডাঃ মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, হৃদরোগসহ নানা সমস্যা নিয়ে প্রায় মাসখানেক ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন ইহসানুল করিম। গত ১০ দিন আগে তাকে বিএসএমএমইউতে নেওয়া হয়, সেখানে আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন। আজ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তার অবস্থা খারাপ হয়। আমরা চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। ৮টার তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে। উনার হার্টের সমস্যা ছিল। পাশপাশি শ্বাসকষ্ট, ডায়াবেটিস ছিল।”
মৃত্যুকালে ইহসানুল করিমের বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। তিনি ১৯৫১ সালে কুষ্টিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি স্ত্রী, এক মেয়ে ও এক ছেলেসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন, সহকর্মী ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
 শিক্ষা জীবনে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি সাংবাদিকতায় ¯œাতকোত্তর ডিপ্লোমা ডিগ্রী লাভ করেন। ১৯৭১ সালে তিনি বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে মুক্তি বাহিনীর হয়ে পশ্চিম রণাঙ্গনে যুদ্ধে অংশ নেন।
 ইহসানুল করিম ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থায়(বাসস) নিজস্ব প্রতিবেদক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। তিনি সংবাদ সংস্থার বিভিন্ন পদে কর্মরত ছিলেন। ১৯৯৭ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তিনি ভারতের নয়া দিল্লিতে বাসস’র ব্যুরো প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তিনি আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা বিবিসি, পিটিআই এবং ভারতের দ্য স্টেটমেন্ট ও ইন্ডিয়া টুডেসহ বিভিন্ন পত্রিকায় সাংবাদিকতা করেন।
 বাসসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক হিসেবে ৪ বছর দায়িত্ব পালনের পর তিনি ২০১৩ সালের ১২ই ফেব্রুয়ারী অবসর গ্রহণ করেন।
 তিনি বাসস থেকে অবসর গ্রহণের পর একই বছরের ২০শে মে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের প্রেস সচিব হিসেবে নিয়োগ পান এবং ২০১৫ সালের জুন পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৫ সালের ১৫ই জুন তাকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রেস সচিব হিসেবে প্রথমে এক বছরের জন্য নিয়োগ প্রদান করা হয়। পরবর্তীতে তার চুক্তির মেয়াদ দুই বার তিন বছর করে বৃদ্ধি করা হয়।
 আগামীকাল সোমবার বাদ যোহর বনানী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে। এর আগে সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে তার নামাজে জানাযা এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তার প্রতি রাষ্ট্রীয় সম্মান গার্ড অব অনার প্রদান করা হবে।  

 

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপতথ্যের বিস্তৃতি মোকাবেলার কৌশল নিয়ে বাংলাদেশ-মরিশাস বৈঠক
দুইটি বিদেশী এয়ারলাইন্সের কার্যক্রম শুরু হচ্ছে মে মাসে
বাংলাদেশের চিকিৎসা সেবায় থাই বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
সর্বশেষ সংবাদ