ঢাকা শুক্রবার, মে ৩, ২০২৪
খোলাবাড়িয়ায় দেড়শ বছরের পুরনো মন্দির রক্ষার দাবি
  • আশিকুর রহমান
  • ২০২৪-০৩-২১ ১৭:১২:৫০
দেড়শ বছরের পুরনো দুর্গা মন্দির রক্ষায় পুকুর খনন বন্ধের দাবিতে গতকাল ২১শে মার্চ বিকেলে রাজবাড়ী সদর উপজেলার পাঁচুরিয়া ইউনিয়নের খোলাবাড়িয়া গ্রামে ‘ডি কে সাহার বাড়ি দুর্গা মন্দিরের সামনে সংবাদ সম্মেলনে করে স্থানীয়রা -মাতৃকণ্ঠ।

রাজবাড়ীতে দেড়শ বছরের পুরনো দুর্গা মন্দির রক্ষায় পুকুর খনন বন্ধের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

গতকাল ২১শে মার্চ বিকেলে রাজবাড়ী সদর উপজেলার পাঁচুরিয়া ইউনিয়নের খোলাবাড়িয়া গ্রামে ডি কে সাহার বাড়ি দুর্গা মন্দিরের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান তারা।

সংবাদ সম্মেলনে মন্দিরের রক্ষণাবেক্ষণকারী নারায়ণ কুমার সাহা, মহাদেব সাহা, স্থানীয় ইউপি সদস্য আঃ ছালাম ম-ল ও মোঃ ইব্রাহিম সরদারসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

মন্দিরের রক্ষণাবেক্ষণকারী নারায়ণ কুমার সাহা বলেন, দেড়শ বছর আগে আমার পূর্ব পুরুষরা দুই ভাই দেবনাথ সাহা ও কেদার নাথ সাহা ২০ শতাংশ জমির ওপর এই মন্দিরটি নির্মাণ করেন। তারা দুই ভাই ছিলেন বড় চাল ব্যবসায়ী। এছাড়াও কলকাতার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে তাদের বিভিন্ন ব্যবসা ছিল। দুই ভাইয়ের নামের প্রথম অক্ষর দিয়ে তারা মন্দিরটির নামকরণ করেন ‘ডি কে সাহার বাড়ি দুর্গামন্দির’। এখনও প্রতিবছরই এই মন্দিরে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া সারাবছরই এখানে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে দর্শনার্থীরা আসেন।

তিনি বলেন, মন্দিরের এই দাগে মোট দুই একর ৬৩ শতাংশ জমি রয়েছে। এরমধ্যে এক একর ৩০ শতাংশ জমি স্থানীয় রওশন আরা বেগমের, ৮৮ শতাংশ মোঃ ইব্রাহিম সরদারের এবং ৪৫ শতাংশ জমি আমার ও আমার ছোটভাই মহাদেব সাহার। জমিটি বন্টননামা করা নেই। আমাদের চারজনের এজমালি সম্পত্তি এটি। সম্প্রতি মন্দিরের কোলঘেঁষে এক একর পতিত জমিতে পুকুর কাটার উদ্যোগ নেন রওশন আরা বেগম।

ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে গত ২৩শে জানুয়ারী তিনি জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে পুকুর খননের অনুমতিও আনেন। এখানে পুকুর খনন করা হলে মন্দিরটি ভেঙে পুকুরে বিলীন হয়ে যাবে। যে কারণে গত ১০ই মার্চ আমরা জেলা প্রশাসকের কাছে পুকুর খননের অনুমতি বাতিলের দাবি জানিয়ে লিখিত আবেদন করেছি। 

এই সংবাদ সম্মেলনে আপনাদের(সাংবাদিকদের) মাধ্যমে আবারও দাবি জানাচ্ছি, মন্দিরের পাশে পুকুর খননের অনুমতি বাতিল করে ঐতিহ্যবাহী মন্দিরটি যেন রক্ষা করা হয়।

মোঃ ইব্রাহিম সরদার বলেন, এই দাগে আমাদের ৪জনের জমি রয়েছে। এটি এজমালি সম্পত্তি। তাছাড়া এই জমি নিয়ে আদালতে পেনশন মামলা চলমান রয়েছে। এই জমিতে রওশন আরা বেগম কিভাবে পুকুর খনন করতে চান। তারচেয়ে বড় কথা এখানে দেড়শ বছরের পুরনো একটি ঐতিহ্যবাহী মন্দির রয়েছে। পুকুর খনন করা হলে মন্দিরটি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আমরা পুকুর খননের অনুমতি বাতিলের দাবি জানাই।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আঃ ছালাম শেখ বলেন, মন্দিরের পাশে পুকুর খনন করা হলে ঐতিহ্যবাহী মন্দিরটি ভেঙে পড়ার পাশাপাশি এলাকার মানুষের যাতায়াতেও সমস্যা হবে। কারণ যেখানে পুকুর খননের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে সেখান দিয়ে এলাকার মানুষ যাতায়াত করেন। তাই স্থানীয় জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে আমিও এই পুকুর খননের অনুমতি বাতিলের দাবি জানাই।

পাংশা-কালুখালীতে আ’লীগ সমর্থিত প্রার্থীর নির্বাচনী পথসভায় নেতাকর্মীদের জন¯্রােত
পাংশায় র‌্যাবের অভিযানে বিদেশী  অস্ত্রসহ সাবেক মেম্বার গ্রেফতার
গোয়ালন্দে প্রতীক পেয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী মোস্তফা মুন্সীর বিশাল শোডাউন
সর্বশেষ সংবাদ