বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ শহিদুল ইসলাম খান বাবুল বলেছেন ৫ তারিখে ইতিহাস বদল হয়েছে, এখনো ভাগ্য বদল হয় নাই। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বিদেশ থেকে বার বার বলছেন আপনারা ধর্য্য ধরবেন। সংযম রাখবেন। আমাদের বিরুদ্ধে ওয়ান ইলেভেনে যে ষড়যন্ত্র বিএনপিকে ক্ষমতায় আসতে দেওয়া হবে না। সেই ষড়যন্ত্র কিন্তু এখনো অব্যাহত আছে। ষড়যন্ত্র এখনো বিএনপিকে যাতে ক্ষমতায় না আসতে দেওয়া যায়। সমস্ত আয়োজন কিন্তু এখনো আছে। দেশী বিদেশী যড়যন্ত্র কিন্তু এখনো বন্ধ হয় নাই।
গতকাল ৪ঠা জানুয়ারী বিকেলে রাজবাড়ী সদর উপজেলার খানখানাপুর সুরাজ মোহিনী ইনস্টিটিউট স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে ইউনিয়ন কৃষক দলের আয়োজনে কৃষক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, অনেকেই কথায় কথায় বলে নির্বাচন হলেই তো বিএনপি ক্ষমতায় আসবে। এতএব এখনি নির্বাচন দেওয়া যাবে না। চিন্তা করেছেন, এতো মানুষ জীবন দিলো, এতো মানুষ আত্মাহুতি দিলো, এতো লক্ষ লক্ষ মামলা, এতো মানুষ পঙ্গু হলো, এতো মানুষ দেশান্তরী হলো, তোমাদের অনির্বাচিতদের ক্ষমতায় রাখবার জন্যে?
শহিদুল ইসলাম খান বাবুল বলেন, বাংলাদেশের মানুষ ১৫ বছর ভোটের কোন অধিকার পায়নি, বাংলাদেশের মানুষের ভোটের অধিকারের জন্য আমরা ১৫/১৭ বছর লড়াই করেছি। ভালোয় ভালোয় বাংলাদেশের মানুষের শান্তিপূর্ণ ভোটের ব্যবস্থা করেন। আমরা ক্ষমতায় যেতে চাই, ক্ষমতায় যাওয়ায় কোন অপরাধ নয়, ভোট চুরি করে আমরা ক্ষমতায় যেতে চাই না, বাংলাদেশের মেহনতী মানুষ যদি আমাদের ভোট দেয়, তাহলে আমরা ক্ষমতায় যাবো, আর যদি ভোট না দেয় সেটাও আমরা মেনে নেব। কিন্তু মানুষের ভোট নিয়ে যদি আপনারা তাল বাহানা করেন তাহলে আবার আমরা আপনাদের বিরুদ্ধে রাজপথে নামবো।
তিনি আরো বলেন, গত ৫ই আগস্ট ফেরাউনের হাত থেকে দেশটি রক্ষা পেয়েছে। আল্লাহর রহমতে আগের চেয়ে মানুষ এখন ভালো আছে। এখন কেউ আর গলাটিপে ধরেনা, সবাই কথা বলতে পারে। বাংলাদেশের জন্য দীর্ঘ ১৭ বছর লড়াই করেছি। বেগম খালেদা জিয়ার ওপর যে অত্যাচার করা হয়েছে, কিন্তু তিনি কখনো নত স্বীকার করেননি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে এখনো ৬০ ভাগ ৭০ ভাগ মানুষ কৃষি পেশায় যুক্ত আছে, এখনো কৃষকের ভাগ্যের কোন পরিবর্তন হয়নি, অনেক সরকার আসে অনেক সরকার যায় আর কৃষকের ভাগ্যের কোন পরিবর্তন হয় না। কৃষক দরিদ্র থেকে দরিদ্রই হয়, আর লুটেরা বিদেশে টাকা পাচার করে, বাংলাদেশে এখনো ৬০ ভাগ কৃষির উপর নির্ভরশীল। বাংলাদেশে এখনো গার্মেন্টসে যারা উৎপাদন করে তারা ৮০ ভাগ কৃষকের সন্তান। আমাদের তারেক রহমান ঘোষণা করেছেন আমরা যদি ক্ষমতায় যাই তাহলে কৃষকের জন্য প্রত্যেক ইউনিয়নে কৃষি ক্রয় কেন্দ্র নির্মাণ করব, ক্ষমতায় গেলে আমরা শস্যগার ব্যবস্থা করব, ক্ষমতায় গেলে সহজ শর্তে ও কোথাও কোথাও বিনা সুদে কৃষি ঋণের ব্যবস্থা করব, কৃষকরা যাতে বেশি বেশি ফসল ফলাতে পারে এজন্য গ্রামে গ্রামে আমরা কৃষি সমিতির ব্যবস্থা করব।
জেলা কৃষক দলের আহবায়ক আইয়ুবুর রহমানের সভাপতিত্বে ও জেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব একেএম সিরাজুল আলম চৌধুরীর সঞ্চালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সহ-সভাপতি কর্ণেল(অবঃ) এস.এম ফয়সাল, কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সহ-সভাপতি এডঃ মোঃ আসলাম মিয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ কামরুজ্জামান সেলিম, সহ-শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক কৃষিবিদ রাজিবুল হাসান ও সহ-সম্পাদক মোঃ আবুল হাসান মিয়া বক্তব্য রাখেন।
এ সময় জেলা বিএনপির আহবায়ক এডঃ লিয়াকত আলী বাবু, যুগ্ম-আহ্বায়ক রেজাউল করিম পিন্টু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মোস্তাফিজুর রহমান লিখন, জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম রোমানসহ জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের বিএনপি ও কৃষকদের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।