ঢাকা মঙ্গলবার, মে ৭, ২০২৪
বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্কের ৫০ বছরে পদার্পনে জাপানে মৈত্রী দিবস উদযাপিত
  • স্টাফ রিপোর্টার
  • ২০২১-১২-০৬ ১৩:১০:৪৮
জাপানের টোকিওস্থ বাংলাদেশ ও ভারতের দূতাবাস যৌথভাবে গতকাল ৬ই ডিসেম্বর উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ৫০ বছরের মৈত্রী দিবস পালন করে -মাতৃকণ্ঠ।

বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্কের ৫০ বছরে পদার্পনে জাপানে মৈত্রী দিবস উদযাপিত হয়েছে। 
  গতকাল ৬ই ডিসেম্বর জাপানের টোকিওস্থ বাংলাদেশ ও ভারতের দূতাবাস যৌথভাবে উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ৫০ বছর বা মৈত্রী দিবস পালন করে। 
  এ উপলক্ষে সন্ধ্যায় স্থানীয় একটি হোটেলে এক সংবর্ধনা ও সান্ধ্য ভোজের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত পার্লামেন্টারী ভাইস মিনিস্টার হোন্ডা তারো। 
  জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ ও ভারতের রাষ্ট্রদূত সঞ্জয় কুমার ভার্মা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথিকে স্বাগত জানান। জাপানের সংসদ সদস্য, টোকিওস্থ বিভিন্ন দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত ও প্রধানগণ, জাপানের উচ্চপদস্থ সরকারী কর্মকর্তাগণ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, শিক্ষাবিদ, সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব, সাংবাদিক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এবং বাংলাদেশ ও ভারতের জাপান প্রবাসী নাগরিকগণ অনুষ্ঠানে যোগদান করেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশ, ভারত ও জাপানের জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয় এবং ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সকল শহীদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
  প্রধান অতিথির বক্তব্যে হোন্ডা তারো বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে দুই দেশের সরকার ও জনগণকে শুভেচ্ছা জানান। 
  তিনি বলেন, ঐতিহাসিকভাবেই জাপানের সাথে বাংলাদেশ ও ভারতের গভীর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান যা সাম্প্রতিককালে সরকারী ও বেসরকারী বিভিন্ন ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে আরো মজবুত হয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন দুই দেশের সাথে সহযোগিতার এই সম্পর্ক দিন দিন আরো সম্প্রসারিত হবে।
  বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ তার স্বাগত বক্তব্যে বাংলাদেশের স্বাধীনতার রূপকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লক্ষ শহীদ, সম্ভ্রম হারানো দুই লক্ষ মা-বোন, জাতীয় চার নেতা, ভারতের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যসহ সাধারণ নাগরিক যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের জীবন দিয়েছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান এবং মুক্তিযুদ্ধে সহযোগিতার জন্য ভারতের সরকার ও সাধারণ জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। 
  তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রাজ্ঞ নেতৃত্বে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্কের সোনালী অধ্যায় রচিত হয়েছে। বর্তমানে দুই দেশের মধ্যে চমৎকার দ্বি-পক্ষীয় সম্পর্ক বিদ্যমান এবং আগামীতেও পারস্পরিক শান্তি, উন্নতি ও অগ্রগতির পথে সহযোগিতার এই ধারা অব্যাহত থাকবে। 
  ভারতের রাষ্ট্রদূত সঞ্জয় কুমার ভার্মা তার বক্তব্যে বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এছাড়াও তিনি ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা স্মরণ করেন। 
  তিনি বাংলাদেশ স্বাধীন করতে দুই দেশের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। 
  রাষ্ট্রদূত ভার্মা বলেন, ভারত-বাংলাদেশের পারস্পরিক সম্পর্ক আজ অনেক পরিপক্ক ও গভীর। ফলে দু’দেশের অনেক জটিল ও অমীমাংসিত সমস্যা সাম্প্রতিক সময়ে সহজে ও বন্ধুত্বপূর্ণ উপায়ে সমাধান সম্ভব হয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন ১৯৭১ সালে বন্ধুত্বের যে সম্পর্ক তৈরী হয়েছিল তা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে এবং শান্তি, সমতা, গণতন্ত্র সমুন্নত রাখতে দুই দেশ সর্বদা একযোগে কাজ করবে।
  অনুষ্ঠানে দুই দেশের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা ও ভিডিও তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

সোলায়মান আলী যুক্তরাষ্ট্র আ’লীগের সহ-সভাপতি নির্বাচিত
পার্বত্য শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নের অগ্রগতি জাতিসংঘে তুলে ধরলেন প্রতিনিধি দল
নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত
সর্বশেষ সংবাদ