সম্মেলনকে সামনে রেখে রাজবাড়ী জেলা কৃষক লীগের বিশেষ বর্ধিত সভা গতকাল ১৬ই মার্চ দুপুরে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় চত্বরে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জেলা কৃষক লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক আবু বককার খানের সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম-আহ্বায়ক মোস্তফা মাহমুদ হেনা মুন্সি’র সঞ্চালনায় বর্ধিত সভার উদ্বোধন করেন কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মিয়ান আব্দুল ওয়াদুদ।
প্রধান অতিথি হিসেবে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও রাজবাড়ী-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ জিল্লুল হাকিম ও বিশেষ অতিথি হিসেবে জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলী বক্তব্য রাখেন।
সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক নূরে আলম সিদ্দিকী হক বক্তব্য রাখেন।
বিশেষ বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম পানু, সহ-প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক নুরুল ইসলাম বাদশা, এনজিও বিষয়ক সম্পাদক মিরুল ইসলাম, সহ-স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক এডঃ শেখ জামাল হোসেন মুন্না, সহ-সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক কামরুল ইসলাম লিটু এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা কবিরুল আলম মাও। আরও বক্তব্য রাখেন কৃষক লীগের বিভিন্ন ইউনিটের নেতৃবৃন্দ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ জিল্লুল হাকিম বলেন, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, কৃষক লীগসহ আওয়ামী লীগের সকল সহযোগী সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। কৃষক লীগ করতে হলে পদ-পদবী নিয়ে বসে থাকলে চলবে না, কৃষকদের কাছে যেতে হবে। দলে অনুপ্রবেশকারীদের বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে। তারা দলের ক্ষতি করার জন্য দলে আসতে চায়। যতদিন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আমার নির্বাচনী এলাকার জনগণের আস্থা আমার উপর থাকবে ততদিন যতই ষড়যন্ত্র হোক কেউ আমার কিছু করতে পারবে না। আমি ক্লাস সিক্স থেকে ছাত্রলীগ করেছি। সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্ম নেই নাই। অনেক চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে আজ এখানে এসেছি। আমার পিঠের ওপর বঙ্গবন্ধুর হাতের স্পর্শ রয়েছে। আমার বিরুদ্ধে অনেক সময় স্বাধীনতা বিরোধী পরিবারের সদস্যরা ও চক্র নানা অপকথা ছড়িয়েছে।
সংসদ সদস্য মোঃ জিল্লুল হাকিম আরো বলেন, আমার জীবনের সবচেয়ে বড় দুঃখ আমি যাদেরকে রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করেছি তারাই একসময় আমার সমালোচনা করেছে। বিরোধিতা করেছে। আজ আমার কোন দুঃখ নেই। আমার সৈনিকরা আমার কাছে ফিরে আসলে আমি নিজেই শক্তিশালী হবো। আমি কৃষক লীগের নেতাকর্মীদের পাশে থাকবো।
কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক নূরে আলম সিদ্দিকী হক বলেন, জিল্লুল হাকিমের মতো নেতা বহুদিন পর একজন করে জন্ম নেয়। তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিলে তিলে আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করেছেন। তিনি আওয়ামী লীগের অন্যান্য সহযোগী সংগঠনকে যেভাবে দেখাশোনা করেন আগামীতে কৃষক লীগকেও সেভাবে দেখাশোনা করবেন বলে আশা করি। তার সাথে আলোচনা করে দ্রুত সময়ের মধ্যেই কৃষক লীগের উপজেলা কমিটিগুলো করা হবে।