ঢাকা রবিবার, এপ্রিল ২৮, ২০২৪
কষ্টে ভরা জীবন গ্রাম পুলিশের
  • সোহেল মিয়া
  • ২০২২-০৮-২২ ১৪:০৩:৪৪

ইউনিয়ন পরিষদের অধীন গ্রাম পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা গ্রামীণ এলাকার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায়সহ বিভিন্ন সামাজিক সচেতনতা ও সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে অবদান রাখলেও তাদের জীবন কষ্টে ভরা। গত এক দশকে কয়েক দফায় বেতন বাড়লেও তাদের ভাগ্যের তেমন একটা পরিবর্তন হয়নি। 

  জানা গেছে, ২০১৬ সাল থেকে গ্রাম পুলিশরা বেতন পান ৬ হাজার ৫০০ টাকা। এর মধ্যে সরকার থেকে ৩ হাজার ২৫০ টাকা ও ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ৩ হাজার ২৫০ টাকা। এই টাকাও তারা নিয়মিত পান না। ২০১৬ সালের আগে গ্রাম পুলিশরা বেতন পেতেন ৩ হাজার ৫০০ টাকা। তার আগে ২০০৯ সালে তাদের বেতন ছিল ১ হাজার ৪০০ টাকা। মাসিক বেতন ছাড়া তারা অন্যান্য সুযোগের মধ্যে তারা শুধুমাত্র বছরের ২টি ঈদে বেতনের সমপরিমাণ টাকা বোনাস পান। 
  এ সকল গ্রাম পুলিশরা ইউপি সচিবকে জন্ম-মৃত্যুর তথ্য সংগ্রহ করে প্রদান করা, ইউপি ভবন ও বিভিন্ন সড়কে রাত্রিকালীন সময়ে দায়িত্ব পালন, গ্রাম আদালত, গ্রামে কোন সংস্থার কর্মসূচী চলাকালীন ও সড়ক দুর্ঘটনার স্থানে তাৎক্ষণিক দায়িত্ব পালন, উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বাল্য বিয়ে সংক্রান্ত তথ্য প্রদান, অনাকাঙ্খিত মৃত্যুর সংবাদ থানায় জানানো, অপরাধী গ্রেফতারে, মাদকদ্রব্য ও জুয়া প্রতিরোধে পুলিশের অভিযান চালানোয় সহযোগিতাসহ অনেক দায়িত্ব পালন করে থাকে। 
  রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার সদর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব বিধান বিশ্বাস জানান, উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে ৭০ জন গ্রাম পুলিশ থাকার কথা থাকলেও বর্তমান রয়েছেন ৬৩ জন। তারা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সরকার নির্দেশিত কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করে থাকেন। ২০১৬ সাল থেকে তারা ৬ হাজার ৫০০ টাকা করে বেতন পান। 
  ৩০ বছর ধরে গ্রাম পুলিশে কর্মরত ইসলামপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের আব্দুল কাদের দুঃখ করে বলেন, জীবনটাই কাটিয়ে দিলাম গ্রামের মানুষের সেবায়। সেই তুলনায় আমাদের ভাগ্যের কোন পরিবর্তন নেই। ২০০ টাকা থেকে চাকরী শুরু করে এখন ৬ হাজার ৫০০ টাকায়। এ টাকায় ঠিকমতো সংসার চালাতে পারি না। 
  বালিয়াকান্দি সদর ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ সদস্য হাফিজুর রহমান বলেন, আমার চাকরী জীবন প্রায় শেষের পথে। কিন্তু জীবনে কিছুই করতে পারলাম না। সরকারী চাকরীর ক্ষেত্রে পোষ্য কোটা থাকলেও আমাদের ছেলেমেয়েদের জন্য কোন কোটার ব্যবস্থা নেই। এই শেষ জীবনে সরকারের কাছে আমার দাবী, আমাদের চাকরীটা যেন জাতীয়করণ করা হয় এবং আমাদের ছেলেমেয়েদের চাকরীর ক্ষেত্রে কোটা ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করা হয়।
  রাজবাড়ীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) মোঃ মাহাবুর রহমান শেখ বলেন, গ্রাম পুলিশরা অনেক দায়িত্ব পালন করে থাকে। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর এই বাহিনীর বেতন কয়েক ধাপে বৃদ্ধি পেয়েছে। গ্রাম পুলিশ তাদের বেতনের সরকারী অংশ নিয়মিতই পেয়ে থাকে। এছাড়া ইউনিয়ন পরিষদের বেতনের অংশ তহবিলে আসার পরপরই তারা পেয়ে যায়।

নির্বাচনে শেষ দিন পর্যন্ত মাঠে থাকবো--স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী এডঃ নেকবর হোসেন মনি
পাংশার নাদুরিয়ায় উপজেলা চেয়াম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম বুড়ো’র নির্বাচনী পথসভা
গোয়ালন্দে অভিযান সত্বেও থামছে না বেপরোয়া মাটি ও বালি ব্যবসায়ী চক্র
সর্বশেষ সংবাদ