ঢাকা শনিবার, ফেব্রুয়ারী ১, ২০২৫
আওয়ামী লীগ ভোট চুরি করে ক্ষমতায় থেকে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে-----খৈয়ম
  • স্টাফ রিপোর্টার
  • ২০২৫-০১-৩১ ১৪:২২:০৭

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও রাজবাড়ী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম বলেছেন আওয়ামী লীগ সরকার ভোট চুরি করে ও দিনের ভোট রাতে করে ক্ষতায় থেকে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা লুণ্ঠন করে বিদেশে পাচার করেছে। লুণ্ঠন করে বাংলাদেশকে ফাঁকা করে দেওয়া হয়েছে। শেখ হাসিনা সরকারের ফ্যাসিবাদী কার্যক্রমের বিরুদ্ধে বিএনপি ও ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে নেতাকর্মীদের নিয়ে সে ভারতে পালিয়েছে।
 গতকাল ৩১শে জানুয়ারী বিকেলে রাজবাড়ী সদর উপজেলার বসন্তপুর ইউনিয়নের উদয়পুর স্কুল মাঠে বসন্তপুর ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজনে জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
 সাবেক এমপি আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম বলেন, শেখ হাসিনা হাজারের বেশী মানুষকে জুলাই আগস্টে হত্যা করেছে। তাই মানুষ ফুঁসে উঠে শেখ হাসিনাকে টেনে হিঁচড়ে ক্ষমতা থেকে নামিয়েছে। জুলাই আগস্টে আর্মি, বিজিবি ও পুলিশ একযোগে নামিয়ে দিয়ে গুলি করালো, হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করালো। তার বিরুদ্ধে মানুষ রাস্তায় নেমে সরকারকে পতন করে দিলো। শেখ হাসিনা দুপুরের খাবার খেতে পারে নাই। যারা অন্যায় করে, অত্যাচার করে, আল্লাহ যখন ইশারা দেয় তখন এক মুহুর্ত তার জন্য সুখকর থাকে না। শেখ হাসিনা হেলিকপ্টারে পালিয়ে চলে গেছে ইন্ডিয়ায়। আজও শেখ হাসিনা সেখানে বসে ষড়যন্ত্র করছে।
 তিনি বলেন, কেরামত কাজী এমপি ছিলেন এই এলাকায় ছয় বার। কিন্তু তিনি মানুষের নিরাপত্তা দিতে পারেন নাই। রাজবাড়ী জেলার সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা দিতে পারে নাই। আমি কেরামত কাজীকে বার বার বলেছি রাজবাড়ী ছোট জায়গা আমরা যার যার কথা সে সে বলি। ছোট জায়গা আমরা মিলেমিশে থাকি। আমি তিনবার রাজবাড়ী পৌরসভার মেয়র ছিলাম। আমি এমপি ছিলাম। কেরামত কাজীর গুন্ডাপান্ডাদের মনে হয়নি আমি একজন সম্মানিত মানুষ। আমার সিনিয়র নেতাদের প্রতি তাদের সম্মান তৈরি হয় নাই। তারা আমাদের সভায় হামলা করে নেতাকর্মীদের আহত করেছে। ২০১৮ সালের নির্বাচনের সময় আমাদের সাড়ে ৩শত নেতাকর্মীকে জেলে পাঠিয়েছিলো। একটা নির্যাতন করে তারা ক্ষমতায় টিকে থেকে ছিলো। শেখ হাসিনা ক্ষমতার থেকে নেমে গেছে। আমরা চাই এখন অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন। মানুষ ভোট দেবে। মানুষ যাকে পছন্দ করবে তাকে ভোট দিয়ে করে প্রতিনিধি বানাবে। মানুষ যাকে পছন্দ করবে তাকে সরকার বানাবে।
 আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার আলেম-ওলামা এবং মসজিদের ইমামদের ওপর নির্যাতন চালিয়েছে এবং তাদের অধিকার হরণ করেছে। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আলেম-ওলামারা কথা বলতে পারে নাই। বিভিন্ন মাহফিলে গিয়ে তারা মন খুলে কথা বলতে পারে নাই। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আলেম ওলামাদের আওয়ামী লীগ সরকারের গুনো গান গাওয়ার জন্যই ভালো হতো।
 তিনি বলেন, আমরা ভারতের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চেয়েছিলাম। ভারত যখন আমাদের ৫৪টা নদীর মুখে বাঁধ দেয়, ভারত যখন ফারাক্কা থেকে আমাদের পানি দেয় না, ভারত যখন আমাদের দেশকে মরুভূমি পরিণত করতে চায়, ভারত যখন এই সুজলা সুফলা বাংলাদেশকে একটা মরুভূমি তৈরি করতে চায়, সেই ভারত যখন বাংলাদেশে নির্বাচনের সময় ভোট ডাকাতি করতে সাহায্য করে, নির্বাচনের সময় ভোট ডাকাতে পরিণত করে, হাসিনাকে সমর্থন করে সেই ভারতের সাথে আমরা সম্পর্ক রাখতে চাই না।
 নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম বলেন, সামনে নির্বাচন। সকল নেতাকর্মীকে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা যেমন লুণ্ঠন করেছে, অত্যাচার করেছে, নির্যাতন করেছে। একই কাজ যেন আমরা না করি। আমাদেরকে সততার সঙ্গে কাজ করতে হবে। আমাদেরকে নিষ্ঠার সাথে কাজ করতে হবে। বিএনপি মানুষের কল্যাণে মানুষের মঙ্গলে কাজ করে। এই জিনিসটা আমাদের প্রমাণ করতে হবে।
 বসন্তপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ ইউসুফ হোসেন পাটোয়ারীর সভাপতিত্বে ও বসন্তপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ কামাল মিয়ার সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক নঈম আনসারী, সাবেক সদস্য সচিব অধ্যক্ষ মঞ্জুরুল আলম দুলাল,  যুগ্ম আহ্বায়ক গাজী আহসান হাবীব, সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক কে এ সবুর শাহীন, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক খায়রুল আনাম বকুল, জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহ আলম, জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক ইয়াসমিন আক্তার পিয়া, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবুল কালাম আজাদসহ বসন্তপুর ইউনিয়ন বিএনপির নেতাকর্মীরা বক্তব্য রাখেন।
 এ সময় জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আকমল হোসেন, জেলা বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক এ মজিদ বিশ্বাস, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ রইচ উদ্দিন আহমেদ ডিউক, বিএনপি নেতা এ্যাডঃ এম এ গফুর, জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক মোঃ আইয়ুবুর রহমান, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি আব্দুল গফুর মন্ডল, জেলা মহিলা দলের সভাপতি কুমকুম নজরুল, জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এ্যাডঃ নেকবর হোসেন মনি, যুগ্ম আহ্বায়ক এস এম কাওসার মাহমুদ, মনোয়ার হোসেন মিন্টু, সদর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল মামুন সম্রাট, সদস্য সচিব মামুনুল ইসলাম রনি, রাজবাড়ী পৌর যুবদলের আহ্বায়ক শামসুল আলম খান রানা, সদস্য সচিব গোলাম মহিউদ্দিন আহমেদ গীটার, সদর উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক খাইরুল ইসলাম খায়রু, জাসাসের সাবেক সভাপতি শেখ আব্দুর রউফ হিটু, ওলামা দলের সভাপতি হাফেজ মোঃ লোকমান হোসেন, মহিলা দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি ফারজানা ইয়াসমিন ডেইজি, ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ওমর ফারুকসহ জেলা বিএনপি, উপজেলা বিএনপি, বিভিন্ন ইউনিয়ন বিএনপির নেতাকর্মীসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

 

আওয়ামী লীগ ভোট চুরি করে ক্ষমতায় থেকে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে-----খৈয়ম
তরুণদের অদম্য শক্তিই পারে নতুন একটি বাংলাদেশের স্বপ্ন পূরণ করতে----মারিয়া হক
রাজবাড়ী প্রধান ডাকঘর মসজিদের কাজ সম্পন্ন না করে চলে গেছে ঠিকাদার॥মুসল্লিরা দুর্ভোগে
সর্বশেষ সংবাদ