রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দে গতকাল ১৯শে এপ্রিল পৃথক স্থানে শিশুসহ ৩জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
মৃতরা হলো- গোয়ালন্দ উপজেলার ছোট ভাকলা ইউনিয়নের চর বরাট এলাকার বাসিন্দা জয়নাল মন্ডলের ছেলে স্থানীয় এলাইল ফুরকানিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসার ছাত্র মোঃ সিয়াম(১১), গোয়ালন্দ পৌরসভা ৪নং ওয়ার্ড কুমড়াকান্দি গ্রামের বাসিন্দা মৃত খোরশেদ আলী শেখের ছেলে আক্কাস আলী শেখ (৬৩) ও দৌলতদিয়া ইদ্রিস মিয়ার পাড়া গ্রামের বাসিন্দা মৃত হায়দার প্রামানিকের ছেলে মোসলেম প্রামানিক (৬৫)।
স্থানীয় ও থানা সূত্রে জানা যায়, শিশু মোঃ সিয়াম মাদ্রাসায় না যাওয়াকে কেন্দ্র করে বাবা-মায়ের ওপরে অভিমান করে উপজেলার ছোট ভাকলা চর বরাট জয়নাল মন্ডলের গোয়াল ঘরের আড়ার সাথে রশি দিয়ে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করে।
অপরদিকে গোয়ালন্দ পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আক্কাস আলী বাড়ীর কোয়েল পাখির ফার্মের দুর্গন্ধ ছড়ানোকে কেন্দ্র করে পাশের বাড়ীর লোকজনের সাথে মারামারি থামানোর চেষ্টার সময় ধাক্কা লেগে পড়ে যায়। তাকে গুরুতর অসুস্থ্য অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে সে মারা যায়।
গতকাল ১৯শে এপ্রিল সকাল ৯টার দিকে দৌলতদিয়া পদ্মা নদীর লঞ্চ ঘাট এলাকা থেকে দৌলতদিয়া ইদ্রিস পাড়ার বাসিন্দা মোসলেম উদ্দিনের মৃতদেহ উদ্ধার করে নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি। এর আগে গত ১৮ই এপ্রিল সন্ধ্যায় মোসলেম প্রামানিক দৌলতদিয়া লঞ্চ ঘাটের অদূরে পদ্মা নদীতে মাছ ধরতে যায়। সেদিন তিনি আর বাড়ীতে ফেরেননি। ধারণা করা হচ্ছে তিনি স্ট্রোক করে মারা গেছেন।
পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, তিনি এর আগেও দুবার স্ট্রোক করেছিলেন।
এ ব্যাপারে দৌলতদিয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোঃ এনামুল হক জানান, জেলে মোসলেম প্রামানিক আগে থেকেই স্ট্রোকের রোগী ছিলেন এবং তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থও ছিলেন। গতকাল তিনি মাছ ধরতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে নদীতে পড়ে মারা যান। এ ব্যাপারে কোনো অভিযোগ না থাকায় মৃতদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
গোয়ালন্দ ঘাট থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম জানান, শিশু সিয়াম মা-বাবার ওপরে অভিমান করে গলায় ফাঁস নিয়ে মারা যায়। এ ব্যাপারে তার পরিবারের পক্ষ হতে কোনো প্রকার অভিযোগ না থাকায় পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। অপর ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ঘটনার সত্যতা যাচাই করে পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।