ঢাকা বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ১৮, ২০২৪
গোয়ালন্দে যুবলীগ সভাপতির বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ নেতার সাংবাদিক সম্মেলন
  • মইনুল হক মৃধা
  • ২০২১-০৩-০২ ১৪:৩৩:৪৮
গোয়ালন্দ প্রেসক্লাবে গতকাল ২রা মার্চ দুপুরে সাংবাদিক সম্মেলনে যুবলীগ নেতা ইউনুস মোল্লার বিচার দাবী করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নূর আলম -মাতৃকণ্ঠ।

রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও সদ্য নির্বাচিত জেলা পরিষদ সদস্য ইউনুস মোল্লার বিরুদ্ধে রেহেনা আক্তার রাণী(৩৫) নামে এক নারীকে ইট দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

  আহত ওই নারী গোয়ালন্দ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নূর আলমের স্ত্রী। গত ১লা মার্চ বিকাল ৫টার দিকে গোয়ালন্দ পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত রেলওয়ে কলোনী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে ঘটনাটি ঘটে বলে দাবী করা হয়েছে। ইউনুস মোল্লা ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এবং নূর আলম-রেহেনা আক্তার রাণীর বাড়ী বিদ্যালয় সংলগ্ন কুমড়াকান্দি গ্রামে। তবে ইউনুস মোল্লা তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

  এ সংক্রান্ত বিষয়ে নূর আলম গতকাল ২রা মার্চ দুপুর ১২টার দিকে গোয়ালন্দ প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করে ইউনুস মোল্লার বিচার দাবী করেন। এর আগে ঘটনার রাতেই তিনি গোয়ালন্দ ঘাট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সেখানে ইউনুস মোল্লার পাশাপাশি ওই বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণ কাজের ঠিকাদার আবুল কালাম আজাদকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। 

  সাংবাদিক সম্মেলনে নূর আলম বলেন, রেলওয়ে কলোনী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি তাদের বাড়ীর সাথে। বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের নির্মাণ কাজ শুরুর আগে প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের বাড়ীতে আসা-যাওয়ার জন্য ৬ ফুট প্রস্থের জায়গা রেখে কাজ করার কথা বলেছিল। কিন্তু স্কুল কমিটির সভাপতি ইউনুস মোল্লা ঠিকাদার আবুল কালাম আজাদকে দিয়ে আমার বাড়ীতে যাওয়া-আসার জন্য ৬ ফুট জায়গা না রেখেই নির্মাণ কাজ শুরু করে। গত সোমবার বিকাল ৫টার দিকে আমি তাদের কাছে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তাদের সাথে আমার তর্কবিতর্ক হয়। এ সময় আমার স্ত্রী এগিয়ে আসলে তারা আমাদেরকে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। এ সময় আমার স্ত্রী গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে ইউনুস মোল্লা ইট দিয়ে তার বাম পায়ের আঙ্গুলে ও পিঠে আঘাত করে থেতলে দেয় ও টানা-হেঁচড়া করে। এতে সে রক্তাক্ত জখম হয়। পরে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে তাদের সহায়তায় আমি আমার স্ত্রীকে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করি। আমি এ ঘটনার ন্যায় বিচার দাবী করছি এবং ইউনুস মোল্লাকে তার দলীয় পদ হতে বহিষ্কারের দাবী জানাচ্ছি। সাংবাদিক সম্মেলনে নূর আলমের বাবা-মা এবং দুই সন্তানও উপস্থিত ছিলেন।

  অভিযোগ অস্বীকার করে ইউনুস মোল্লা বলেন, নূর আলম দলীয় প্রভাব খাটিয়ে স্কুলের ভবন নির্মাণ কাজের ঠিকাদারের কাছে মোটা অংকের চাঁদা দাবী করে। চাঁদা না পেয়ে সে কাজ বন্ধ করে দেয়। খবর পেয়ে আমি সেখানে গেলে তারা আমাকে উল্টো অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। আমার সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আলমের বৌ নিজেই হোঁচট খেয়ে পড়ে সামান্য আহত হয়। এ ঘটনাকে ভিন্ন খাতে নিয়ে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। 

  তিনি আরো বলেন, আমি গত ২৮শে ফেব্রুয়ারী অনুষ্ঠিত উপ-নির্বাচনে জেলা পরিষদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছি। আলম আমার প্রতিপক্ষ গ্রুপের ইন্ধনে এসব করছে। সে দলীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে সরকারী জায়গায় বাড়ী করে বসবাস করছে। আবার চাঁদা না পেয়ে সরকারী কাজ বন্ধ করে দেয়। এর আগে তারা স্কুলের ২টি গাছ কেটে নেয়। আমি তার বিচার দাবী করছি।

  গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল তায়াবীর বলেন, নূর আলমের একটি লিখিত অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।

রাজবাড়ীতে নানা কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত
চরলক্ষীপুরে থেমে থাকা পাট বোঝাই ট্রাককে গ্যাসবাহী ট্যাঙ্ক লরির ধাক্কা॥হেলপার নিহত
ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে রাজবাড়ীতে আ’লীগের আলোচনা সভা
সর্বশেষ সংবাদ