ঢাকা বুধবার, মে ৮, ২০২৪
রাজবাড়ীতে ‘ব্লাক রাইস’ চাষে কৃষক টিপু সুলতানের সাফল্য
  • মীর সামসুজ্জামান সৌরভ
  • ২০২৩-০১-২১ ১৩:০৩:৩৮

রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দিতে ঔষুধি ও পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ‘ব্লাক রাইস’ ধান চাষ করে সাফল্য পেয়েছে কৃষক টিপু সুলতান।

  জেলায় তিনি প্রথম কৃষি উদ্যোক্তা হিসাবে এই ধানের চাষ শুরু করেন। বালিয়াকান্দি উপজেলার বহরপুর ইউনিয়নের তেতুলিয়া মাঠে প্রায় ৮০ শতাংশ জমিতে এই ধানের চাষ করেন তিনি। প্রথমবারেই তিনি ধানের বাম্পার ফলন পান। টিপু সুলতান বালিয়াকান্দি উপজেলার বহরপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা।

  জানা গেছে, ঢাকা থেকে ব্লাক রাইস ধানের বীজ সংগ্রহ করেন তিনি। উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতায় ৮০ শতাংশ জমিতে ২০ মণ ধানের ফলন হয়েছে। এতে খরচ হয়েছে ৩০ হাজার টাকা। অন্যান্য কৃষকদের হাতে ব্লাক রাইস পৌঁছে দিতে তিনি বীজ সংগ্রহ করেন।

  উদ্যোক্তা টিপু সুলতান বলেন, ঢাকার একজন কৃষিবিদ মুজিবুর রহমানের কাছ থেকে তিনি এই ধানের বীজ সংগ্রহ করেন। এরপর কৃষি বিভাগের পরামর্শে তিনি ধান চাষ শুরু করেন। ব্লাক রাইসের চাল একটু মোটা। এই ধান দুর্যোগ সহনশীল বলে প্রমানিত হয়েছে।

  তিনি আরো বলেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সব সময় পর্যবেক্ষণ ও সহায়তা করেন। তারা আমার এই ধানকে বীজ হিসাবে সংগ্রহ করার পরামর্শ দিয়েছে। ধানের পাশাপাশি আমার একটি নার্সারী রয়েছে। কৃষি কাজে আমি রাজবাড়ীর একজন সফল কৃষক।

  স্থানীয় কৃষকেরা জানান, টিপু সুলতান একজন কৃষি উদ্যোক্তা। তিনি নার্সারী করে সফল কৃষক। রাজবাড়ীতে তিনি প্রথম ব্লাক রাইস ধানের চাষ করেন। এ বছর বালিয়াকান্দিতে প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয়েছে। কিন্তু ধানের কোন ক্ষতি হয়নি। ধানের ফলন ভালো হয়েছে। আমরা পর্যবেক্ষণ করেছি তার ধান নিয়ে। ধানের বাজার মূল্য ভালো হলে অনেক কৃষক এই ধান চাষে আগ্রহী হবে।

  বেশ কয়েকজন কৃষক বলেন, যেহেতু ব্লাক রাইসে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে তাই আমরা অল্প জমিতে এই ধানের চাষ করবো। ইতিমধ্যে আমরা টিপু সুলনানের কাছ থেকে বীজ সংগ্রহ করেছি। রাজবাড়ীতে এই ধান চাষে টিপু সুলতান সাফল্য পেয়েছেন।

  বালিয়াকান্দি উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ব্লাক রাইস পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ও বাজারে দাম বেশি। এই ধানের ভাত এক সময় রাজা-বাদশারা খেত। এই ধানের ভাত খেলে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। কালো ধানে প্রচুর এন্টি-অক্সিডেন্ট থাকায় শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

  বালিয়াকান্দি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, সাধারণ ধানের চেয়ে কালো ধানের দাম ও চাহিদা অনেক বেশি। কালো ধানে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্ডি-অক্সিডন্ট থাকায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এতে দেহের হার্টকে সুস্থ্য রাখে। বালিয়াকান্দিতে প্রথমবারের মতো কালো ধানের চাষে সাফল্য পেয়েছে কৃষক টিপু সুলতান। কৃষি বিভাগ থেকে আমরা বিভিন্ন পরমর্শ ও সাহায্য করেছি।

পাংশা ও কালুখালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আজ ভোট
পাংশা ও কালুখালীতে দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেটদের অবহিতকরণ সভা
জেলার শ্রেষ্ঠ ভান্ডারিয়া সিদ্দিকীয়া কামিল মাদাসা॥৫টি পুরস্কার লাভ
সর্বশেষ সংবাদ