প্রতারণার মামলায় রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার বাহাদুরপুরে আহম্মদ আলী মোল্লা মেমোরিয়াল ওরফ্যান্স ডিজএ্যাবল স্কুল এ্যান্ড কলেজের প্রধান শিক্ষকসহ ২জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
  গতকাল ২০শে এপ্রিল গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
  গ্রেফতারকৃতরা হলো- পাংশা উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামের মৃত আহম্মেদ আলী মোল্লার ছেলে আল মামুন সিদ্দিকী(৩৫) ও তার বড় ভাই কাজল মাহবুব(৪৫)। 
  আল মামুন সিদ্দিকী একই ইউনিয়নের তাঁরাপুর গ্রামে প্রতিষ্ঠিত আহম্মদ আলী মোল্লা মেমোরিয়াল ওরফ্যান্স ডিসএ্যাবল্ড স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক।
  গত ১৯শে এপ্রিল তাদের বিরুদ্ধে পাংশা মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন একই উপজেলার সরিষা ইউনিয়নের বাঘারচর গ্রামের রহিমা খাতুন ওরফে সাথী(২৫) নামে এক শিক্ষক।
  মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আহম্মদ আলী মোল্লা মেমোরিয়াল ওরফ্যান্স ডিজএ্যাবল স্কুল এ্যান্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক আল মামুন সিদ্দিকী ওই প্রতিষ্ঠনে রহিমা খাতুন ওরফে সাথীকে মহিলা শিক্ষিকা হিসাবে নিয়োগ দেয়। পরবর্তীতে প্রতিষ্ঠানটি জাতীয়করণ ও স্থায়ীভাবে নিয়োগের নামে এক লক্ষ টাকা নেন প্রতিষ্ঠানের প্রধান আল মামুন। প্রতিষ্ঠানটি জাতীয়করণ না হলে সাথী তার দেওয়া এক লক্ষ টাকা ফেরত চান। তবে এ টাকা ফেরত দিতে রাজী নন মামুন। যে কারণে তিনি সাথীর পরিবারের লোকজনদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও বিভিন্ন প্রকার হুমকি প্রদান করেন। 
  এজাহার সূত্রে আরো জানা যায়, প্রতিষ্ঠানের প্রতিবন্ধীদের কার্ড করে দেওয়ার নামে বিভিন্নজনের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেন তিনি।
  এসব টাকা ফেরত চাইতে গেলে তাদেরকেও বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হয়। 
  এ বিষয়ে রাজবাড়ী জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (পাংশা সার্কেল) সুমন কুমার সাহা বলেন, আহম্মদ আলী মোল্লা মেমোরিয়াল ডিসএ্যাবল্ড স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক আল মামুন সিদ্দিকী ও তার ভাই কাজল মাহবুবের বিরুদ্ধে প্রতারণা মামলা হয়। মামলার প্রেক্ষিতে গত ১৯শে এপ্রিল রাতে তাদের নিজ বাড়ী গ্রেফতার করা হয়।