চারদিকে হলুদের সমারোহ। এ যেন এক হলুদের স্বর্গরাজ্য, চোখ জুড়িয়ে যাওয়ার মতো এ জায়গায় সরিষা থেকে মধু সংগ্রহ করছেন রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার দুই বন্ধু।
তারা হলেন- বালিয়াকান্দি উপজেলার পূর্ব মৌকুড়ি গ্রামের মনিরুজ্জামান ও এনামুল হক সজীব।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, সরিষার খেতে দুই যুবক মধু সংগ্রহের ডিজিটাল বক্স বসিয়েছেন। ফুল থেকে মধু এনে বাক্সের ভিতরে জমা করে মৌমাছিরা। বাক্স থেকে ৮-১০ দিন পর-পর মধু সংগ্রহ করেন মৌ চাষি এই দুই বন্ধু।
স্থানীয় বাসিন্দা নুরজাহান বেগম বলেন, দুই বন্ধু মিলে সরিষা থেকে মধু সংগ্রহ করে তারা এলাকার মানুষের কাছে বিক্রি করেন। তাদের এমন কাজ দেখে আমরা এলাকার মানুষ অনেক খুশি।
মধুচাষী এনামুল হক সজীব বলেন, প্রায় ৭বছর আগে টাঙ্গাইল থেকে আশরাফ নামে এক মধুচাষী আমাদের এলাকায় আসতো। সেখানে আসার পর সরিষা থেকে মধু সংগ্রহ করতেন তিনি। মূলতঃ আমরা দুই বন্ধু নিজেদের কৌতুহল থেকে আমরা তার কাছ থেকে মধু সংগ্রহের কাজ অনুসরণ করি। এছাড়াও বালিয়াকান্দি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো নুরল হক স্যার আমাদের ৫টি ডিজিটাল বক্স দিলে আমারা মধু সংগ্রহের কাজ করছি। সরিষা থেকে মধু সংগ্রহ করে আমরা এলাকার মানুষের চাহিদা পূরণ করতে পারছি।
অপর যুবক পূর্ব মৌকুড়ি গ্রামের মনিরুজ্জামান বলেন, আমার বড় দুলাভাই কৃষি বিভাগের একজন কর্মকর্তা। তার সহযোগিতা ও উৎসাহে আমি এ কাজে আসতে পেরেছি। বর্তমানে আমার বাড়ির পাশের এক ভাবির বাড়ির ছাদে ২টি ব্লকে ৩টি জায়গায় আমি ১৫টি ডিজিটাল বক্স্র রেখে মৌমাছি থেকে মধু সংহের কাজ করছি। প্রতি ১০দিন পরপর বক্সগুলো থেকে ৩৫ থেকে ৪০ কেজি করে মধু উৎপাদন হয়। প্রতি কেজি মধু আমরা ৬০০/৮০০ কেজিতে বিক্রি করি।
বালিয়াকান্দি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ নুরুল হক বলেন, গত বছর উপজেলায় ৪৪৫ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছিল। চলতি অর্থ বছরে লক্ষ্যমাত্রা ৭০০ হেক্টর। ইতি মধ্যে উপজেলা থেকে ১০জন মধু চাষীকে মৌবক্স ও মৌ-কলনী সরবরাহ করেছি। আশা রাখি আমরা সরিষা থেকে অর্জিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারবো।