ঢাকা বৃহস্পতিবার, মে ৯, ২০২৪
দৌলতদিয়ার ৪নং ফেরী ঘাট এলাকায় ফের পদ্মার ভাঙ্গনে মসজিদসহ বাড়ি-ঘর বিলীন
  • আবুল হোসেন
  • ২০২১-০৮-৩০ ১৪:২৯:২৬
গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়ার ৪নং ফেরী ঘাট এলাকায় গতকাল ৩০শে আগস্ট সকালে ফের পদ্মা নদী ভাঙ্গনে ফেরী ঘাট সংলগ্ন সিদ্দিক কাজীর পাড়া জামে মসজিদ ও ৫টি বসতভিটা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে -মাতৃকণ্ঠ।

রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ফেরী ঘাট এলাকায় গতকাল ৩০শে আগস্ট সকালে ফের পদ্মা নদী ভাঙ্গনে ৪নং ফেরী ঘাট সংলগ্ন সিদ্দিক কাজীর পাড়া জামে মসজিদ ও ৫টি বসতভিটা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।

  ভাঙ্গন আতঙ্কে ঘর-বাড়ি সরিয়ে নিয়েছে আরো ২০টি পরিবার। হুমকীতে রয়েছে ৪টি ফেরী ঘাট, ঘাটের সংযোগ সড়ক ও ২শতাধিক পরিবারসহ বহু স্থাপনা। 

  গতকাল ৩০শে আগস্ট সকাল ৮টার দিকে নদী ভাঙন শুরু হয়। দুপুর ১টা পর্যন্ত ভাঙ্গন এলাকায় দেখা যায় অসহায় মানুষের আর্তনাদ। তারা ভাঙ্গনের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড ও বিআইডব্লি¬উটিএ কর্তৃপক্ষের অবহেলাকে দায়ী করেন।

  এদিকে ভাঙন প্রতিরোধে বিআইডব্লি¬উটিএ কর্তৃপক্ষ জরুরী ভাবে জিও ব্যাগ ফেলে ডাম্পিং করতে শুরু করেছে।

  দৌলতদিয়া ইউপির ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আশরাফুল ইসলাম বলেন, নদী ভাঙনে সিদ্দিক কাজীর পাড়ার সিদ্দিক কাজী, হান্নান কাজী, মান্নান কাজী, আরশাদ আলী ও বাচ্চু খানের বসতভিটা নদীতে বিলীন হয়ে যায়। তবে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় তারা তাদের ঘর-বাড়ি গুলো দ্রুত সরিয়ে নিতে সক্ষম হয়।

  এছাড়া ভাঙন আতংকে সেখানকার আরো ২০টি পরিবার তাদের বসতভিটা নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়। যারা রয়েছে তাদের মধ্যেও চরম আতংক বিরাজ করছে।

  দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুর রহমান মন্ডল নদী ভাঙন পরিস্থিতি দেখতে এসে দুর্গতদের করুণ দুর্দশা দেখে নিজেই হাউমাউ করে কেঁদে ফেলেন।

  তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমি নিজে, আমাদের উপজেলা চেয়ারম্যান এবং প্রশাসনের পক্ষ হতে গত কয়েকদিন ধরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ও বিআইডব্লি¬উটিএ কর্তৃপক্ষকে এখানে ভাঙনের বিষয়ে আশংকার কথা বলে আসছিলাম। কিন্তু তারা যথা সময়ে ভাঙন রোধের ব্যবস্থা নেয়নি। ভাঙন শুরু হওয়ার পর জিও ব্যাগ ফেলা শুরু করে তাতে নদী ভাঙ্গন রোধে খুব একটা কাজ হচ্ছে না বরং এতে সরকারের ব্যায় বেশি হচ্ছে। 

  তিনি আরো বলেন, গত কয়েক বছরের অব্যাহত নদী ভাঙনে দৌলতদিয়ার ১,২ ও ৩নং ওয়ার্ড নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। হাজার হাজার মানুষ সবকিছু হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছে। এ সময় তিনি ঐতিহ্যবাহী দৌলতদিয়া ঘাটকে রক্ষার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

  বিআইডব্লি¬উটিএ'র আরিচা অঞ্চলের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মকবুল হোসেন জানান, ফেরী ঘাট এলাকায় নদী ভাঙ্গনের খবর পেয়ে তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে জরুরী ভিত্তিতে জিও ব্যাগ ডাম্পিং করতে শুরু করেছেন। এটা অব্যাহত থাকবে।  

  তিনি আশংকা প্রকাশ করে বলেন, দ্রুত নদী ভাঙন রোধ করতে না পারলে এখানকার ৩,৪,৫ ও ৬নং ফেরী ঘাট, ঘাটের পাঁকাসড়ক, বহু ঘর-বাড়ি ও স্থাপনা টিকিয়ে রাখা কঠিন হয়ে পড়বে।

পাংশা উপজেলা নির্বাচনে বুড়ো চেয়ারম্যান রিংকু ও ইতি ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী
কালুখালীতে চেয়ারম্যান পদে পুনরায় টিটো ভাইস চেয়ারম্যান পদে সুমন ও টুকটুকি বিজয়ী
পাংশা উপজেলা নির্বাচনে অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে বিজয়-----জেলা আওয়ামী লীগ নেতা মিতুল হাকিম
সর্বশেষ সংবাদ