ঢাকা বৃহস্পতিবার, মে ২, ২০২৪
রাজবাড়ী জেলা আ’লীগের আয়োজনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদত বার্ষিকী পালিত
  • আসাদুজ্জামান নুর
  • ২০২২-০৮-১৫ ১৫:২১:১৪
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে গতকাল ১৫ই আগস্ট দুপুরে জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয় -মাতৃকণ্ঠ।

রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে যথাযথ মর্যাদায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে। 
  এ উপলক্ষে গতকাল ১৫ই আগস্ট সকালে দলীয় কার্যালয়ে জাতীয়, দলীয় ও সহযোগী সংগঠনের পতাকা অর্ধনমিত করে উত্তোলন, কালো পতাকা উত্তোলন, কালো ব্যাজ ধারণ, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং দুপুরে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
  জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও রাজবাড়ী-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ জিল্লুল হাকিমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলী, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য সালমা চৌধুরী রুমা, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য এডঃ খোদেজা নাসরিন আক্তার হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদের প্রশাসক বীর মুক্তিযোদ্ধা ফকীর আব্দুল জব্বার, সহ-সভাপতি ও রাজবাড়ী পৌরসভার সাবেক মেয়র মহম্মদ আলী চৌধুরী, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শেখ সোহেল রানা টিপু, সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এডঃ মোঃ শফিকুল আজম মামুন, সাবেক সদস্য আব্দুস সালাম মন্ডল, রাজবাড়ী পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি এডঃ মোঃ উজির আলী শেখ, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রমজান আলী খান ও রাজবাড়ী সরকারী কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি রেজাউল হক রেজা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। সভা সঞ্চালনা করেন রাজবাড়ী পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সফিকুল ইসলাম সফি এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এডঃ সফিকুল হোসেন সফিক। 
  এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলী, রাজবাড়ী পৌরসভার মেয়র আলমগীর শেখ তিতুসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। 
  সভাপতির বক্তব্যে সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ জিল্লুল হাকিম বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে এ দেশ স্বাধীন হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন। তিনি গরীব মানুষকে ভালোবাসতেন। একটা ধ্বংসস্তুপ থেকে দেশটাকে টেনে তুলেছিলেন। কিন্তু বিশ্বাস ঘাতকরা ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে। বঙ্গবন্ধু যখন দেশটাকে গড়ে তুলছিলেন তখনই তাকে হত্যা করা হয়। হত্যাযজ্ঞের অন্যতম হোতা খুনি খন্দকার মোশতাক ছিলেন দলের একজন বিশ্বাস ঘাতক নেতা। মুক্তিযুদ্ধের সময়ও সে গোপনে ষড়যন্ত্র করেছিল যাতে এ দেশ স্বাধীন না হয়। প্রচার করা হয় বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর কোনো প্রতিবাদ হয় নাই। এটা মিথ্যা কথা। দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদ হয়েছিল। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর লিমিট ছাড়া মিথ্যা কথা  বলে চলেছে। 
  সংসদ সদস্য আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলী বলেন, আজকের দিনটি বাঙালী জাতির জন্য আবেগ ও বেদনার দিন। খুনীরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে এদেশ থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতি বন্ধ করতে পারে নাই। বঙ্গবন্ধু প্রতিটি বাঙালীর হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন। তার সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছিল। জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতে দেশ যতটা নিরাপদ, অন্য কারো হাতে ততটা নিরাপদ নয়। তাই সবাই মিলে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। 
  আলোচনা সভার শেষে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের শহীদ সদস্যদের রূহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া-মোনাজাত করা হয়। দোয়া পরিচালনা করেন আটাশ কলোনী জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা সেলিম দেওয়ান। 

রাজবাড়ী জেলা প্রশাসনের আয়োজনে মহান মে দিবসে র‌্যালী-আলোচনা সভা
রাজবাড়ীতে দুই ব্যাংকের  প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ অনুষ্ঠিত
বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স না পেয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে রাজবাড়ীতে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে তরুণীর আত্মহত্যা
সর্বশেষ সংবাদ