ঢাকা বৃহস্পতিবার, মে ১৬, ২০২৪
করোনা মোকাবেলায় ঈদে ঘরমুখী যাত্রীদের পারাপার ঠেকাতে এবার দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরী চলাচল বন্ধ
  • স্টাফ রিপোর্টার
  • ২০২০-০৫-১৮ ১৮:৫৮:৪০
ঈদের ঘরমুখী যাত্রীদের নদী পারাপার ঠেকাতে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে গতকাল ১৮ই মে দুপুর থেকে ফেরী সার্ভিস বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ -মাতৃকণ্ঠ।

ঈদের ঘরমুখী যাত্রীদের নদী পারাপার ঠেকাতে শেষ পর্যন্ত দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের গতকাল ১৮ই মে দুপুর থেকে ফেরী সার্ভিস বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে না পারায় কর্তৃপক্ষ এ সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছে।

  বিআইডব্লিউটিসি ও দৌলতদিয়া ঘাট সূত্রে জানা যায়, করোনা ভাইরাস সংক্রমন রোধে শুরু থেকেই দেশের ব্যস্ততম দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে জরুরী পন্য ও এ্যাম্বুলেন্স পারাপারের জন্য ফেরী চলাচল সীমিত আকারে চালু রাখা হয়েছিল। কিন্তু বিভিন্ন সময় সীমিত আকারে চলাচলরত ফেরীতে জরুরী যানবাহনের চেয়ে সাধারন যাত্রীদের ভিড় বেশী ছিল। অনেক সময় যাত্রীদের চাপে ফেরীতে যানবাহন পারাপার ব্যাহত হয়েছে। কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহন করেও সাধারণ যাত্রীদের নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছিল না। এ অবস্থায় পবিত্র ঈদুল ফিতর আসন্ন। এ উপলক্ষে সকল বাঁধা উপেক্ষা করে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ গ্রামে পৌছাতে এক যোগে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে আসতে থাকে। সময় বাড়ার সাথে সাথে মানুষের স্রোত বাড়তে থাকে। এ পরিস্থিতিতে স্থানীয় প্রশাসনের নির্দেশে গতকাল সোমবার বেলা ১২টার দিকে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরী চলাচল বন্ধ করে দেয় কর্তৃপকক্ষ।
  এদিকে গতকাল সোমবার ভোরে ঢাকাসহ পার্শ্ববর্তী জেলা থেকে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া প্রান্তে ঘরমুখী মানুষের প্রচন্ড চাপ বাড়তে থাকে। করোনা পরিস্থিতিতে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে মাত্র ৫টি ফেরী দিয়ে সীমিত আকারে জরুরী যানবাহন পারাপার করা হলেও সোমবার ভোর থেকে যাত্রী এবং জরুরী পণ্যবাহী গাড়ীর চাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় নৌরুটে ১৪টি ফেরী চলাচল করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পাটুরিয়া প্রান্তে থেকে পুলিশ ফেরীতে যাত্রী ওঠা বন্ধ করে দিলে যাত্রীরা কয়েকটি স্থানে ভাংচুর করে। আকর্ষিক ভাবে ফেরী সার্ভিস বন্ধ হওয়ায় উভয় পারে হাজার হাজার গাড়ী নদী পাড় হতে এসে আটকা পড়ে।
  বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্পোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ফেরী ঘাট ব্যাবস্থাপক মোঃ আবু আব্দুল্লাহ রনি জানান, ফেরীতে চলাচলকারী যাত্রীদের নিয়ন্ত্রণ করতে না পারায় করোনা সংক্রামন ঝুঁকি বিবেচনা করে আপাতত ফেরী সার্ভিস বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তবে পরিস্থিতি বিবেচনা করে কোন এ্যাম্বুলেন্স অথবা জরুরী যানবাহন যদি পারাপার করতে হয় এ ব্যাপারে তাদের প্রস্তুতি আছে। এছাড়া ভোর রাতের দিকে কিছু জরুরী পন্যবাহি ট্রাক পারাপার করা হতে পারে বলে তিনি জানান। 
  রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান পিপিএম-বার বলেন, করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকির কারণে ঈদকে সামনে রেখে ঢাকাসহ বড় শহরগুলো থেকে যাত্রীরা যেন গ্রামে না যেতে আসে সে ব্যাপারে আমাদের নির্দেশনা রয়েছে। আমরা সেই নির্দেশনা মোতাবেক কাজ করে যাচ্ছি।  

 

জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহের সমাপনীতে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ
একই জমি দুইবার বিক্রির অভিযোগে প্রতারক মজিবরের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা॥সমন জারি
অর্থনৈতিক শুমারির ২দিনের প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন
সর্বশেষ সংবাদ