ঢাকা বুধবার, মে ৮, ২০২৪
রাজবাড়ীতে নারী চিকিৎসককে গণধর্ষণের মামলায় অভিযুক্ত ৩জনের ফাঁসির আদেশ
  • শিহাবুর রহমান
  • ২০২০-০৯-০২ ১৭:৪৭:০৩
রাজবাড়ীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গতকাল ২রা সেপ্টেম্বর সদর উপজেলার বসন্তপুরে এক নারী চিকিৎসককে গণধর্ষণের মামলায় অভিযুক্ত ৩জনকে ফাঁসির আদেশ প্রদান করেছে -মাতৃকণ্ঠ।

রাজবাড়ী সদর উপজেলার বসন্তপুরে এক নারী চিকিৎসককে গণধর্ষণের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় ৩জনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছে আদালত। 
  গতকাল ২রা সেপ্টেম্বর দুপুরে রাজবাড়ীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক শারমিন নিগার জনাকীর্ণ আদালতে এ রায় ঘোষণা করেন। 
  সাজাপ্রাপ্ত আসামীরা হলো ঃ রাজবাড়ী সদর উপজেলার খানখানাপুর ইউনিয়নের দত্তপাড়া গ্রামের আরশাদ মোল্লার ছেলে মামুন মোল্লা(২২) এবং একই উপজেলার বসন্তপুর ইউনিয়নের মজলিশপুর গ্রামের মৃত মুন্নাফ সরদারের ছেলে হান্নান সরদার (৩২) ও মৃত আবুল মোল্লার ছেলে রানা মোল্লা(২৭)। মৃত্যুদন্ডের পাশাপাশি তাদেরকে ১লক্ষ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। 
  এছাড়াও রায়ে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ৩জনকে বেকসুর খালাস প্রদান করা হয়। রায় ঘোষণার সময় অভিযুক্ত আসামীরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
  মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২৩শে ফেব্রুয়ারী রাতে ওই নারী চিকিৎসক ঢাকা থেকে গোপালগঞ্জ যাওয়ার উদ্দেশ্যে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ মোড়ে আসেন। এরপর তিনি ফরিদপুর যাওয়ার জন্য বাসের অপেক্ষা করতে থাকেন। এ সময় রানা, হান্নান ও মামুন তাকে গন্তব্যস্থলে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে ব্যাটারী চালিত ইজিবাইকে উঠিয়ে বসন্তপুর ইউনিয়নের মজলিশপুর নিহাজ জুট মিল এলাকায় নিয়ে যায়। এরপর তারা ওই নারীকে মুখ বেঁধে ঘাড়ে করে একটি বাঁশ ঝাড়ের মধ্যে নিয়ে যায়। সেখানে তারা জোরপূর্বক পালাক্রমে তাকে ধর্ষণ করে এবং আরো অজ্ঞাত ৩/৪জনকে মোবাইলে ডেকে আনে। তারাও ওই নারী চিকিৎসককে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে ভোরের দিকে তারা তাকে রাস্তায় উঠিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। 
  এ ঘটনার পর ২৪শে ফেব্রুয়ারী সকাল ৭টার দিকে তিনি র‌্যাব-৮ ফরিদপুর ক্যাম্পে গিয়ে কোম্পানী অধিনায়কের কাছে মৌখিক অভিযোগ করেন। তার অভিযোগের প্রেক্ষিতে একইদিন সকাল ১০টার দিকে বসন্তপুর স্টেশন বাজার থেকে স্থানীয়দের সহযোগিতায় র‌্যাবের একটি দল অভিযুক্ত রানা, হান্নান ও মামুনকে গ্রেফতার করে রাজবাড়ী সদর থানায় হস্তান্তর করে। পরে ২৫শে ফেব্রুয়ারী ওই নারী চিকিৎসক রানা, হান্নান ও মামুনের নাম উল্লেখ করে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধনী ২০০৩) এর ৯(৩) ধারায় রাজবাড়ী সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। রাজবাড়ী থানার মামলা নং-২৮। মামলায় রানা, হান্নান ও মামুনকে আসামী করা হয়। তবে এজাহারে ঘটনার সাথে অজ্ঞাতনামা আরো ৩/৪জনের সম্পৃক্ত থাকার কথা বর্ণনা করেন ওই নারী চিকিৎসক।
  পরবর্তীতে এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা খানখানাপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম একই বছরের ১৭ই মে তদন্ত শেষে ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় রানা, হান্নান, মামুন, আনিচুর রহমান আনিচ, করিম মোল্লা ও মনির ওরফে কুটি মনিরের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
  এরপর রাজবাড়ীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলাটির বিচার কার্যক্রম শুরু হয়। স্বাক্ষ্য-প্রমাণ গ্রহণের পর গতকাল ২রা সেপ্টেম্বর বিচারক শারমিন নিগার মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় রানা, হান্নান ও মামুনকে মৃত্যুদন্ড ও ১লাখ টাকা করে অর্থদন্ডের আদেশ দেন। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আনিচুর রহমান আনিচ, করিম মোল্লা ও মনির ওরফে কুটি মনিরকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।    
  রাষ্ট্র পক্ষে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি এডঃ উমা সেন মামলাটি পরিচালনা করেন।   

 

পাংশা ও কালুখালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আজ ভোট
পাংশা ও কালুখালীতে দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেটদের অবহিতকরণ সভা
জেলার শ্রেষ্ঠ ভান্ডারিয়া সিদ্দিকীয়া কামিল মাদাসা॥৫টি পুরস্কার লাভ
সর্বশেষ সংবাদ