ঢাকা বৃহস্পতিবার, মে ৯, ২০২৪
আমদানীর খবরে রাজবাড়ী কাঁচা মরিচের দর পতন
  • মীর সামসুজ্জামান
  • ২০২৩-০৭-০৪ ০৪:২৮:১০

ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানীর খবরে রাজবাড়ীতে কাঁচা মরিচের বাজার কিছুটা স্থিতিশীল হয়েছে।

  গত ২রা জুলাই পর্যন্ত যে কাঁচা মরিচ খুচরা বাজারে ৬০০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে সেই কাঁচা মরিচ একদিনের ব্যবধানে ৩০০ টাকা কমে প্রতি কেজি ৩০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। ২/১ দিনের মধ্যে দাম আরও কমতে পারে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

  গতকাল ৩রা জুলাই সকালে রাজবাড়ী শহরের শ্রীপুর বাজার, নতুন বাজার ও বড় বাজার এলাকায় গিয়ে মরিচের দামের এই পরিবর্তন দেখা যায়। এছাড়াও পাংশা, বালিয়াকান্দি, কালুখালী ও গোয়ালন্দ উপজেলা জেলাতেও কাঁচা মরিচের দাম কমেছে। স্থানভেদে খুচরা বাজারে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

  খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রচন্ড খরায় ফলন কম আসায় ও গাছ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় বাজারে কাঁচা মরিচ সংকট দেখা দিয়েছে। এ সুযোগে হঠাৎ কাঁচা মরিচের দাম বাড়িয়ে দেন ব্যবসায়ীরা। তবে বিক্রেতাদের দাবী, বৃষ্টি ও পরিবহন সংকটে কমে গেছে মরিচের সরবরাহ। তাই দাম ঊর্ধ্বমুখী। মূলত বর্ষাকাল হওয়ায় ও ঈদের কারণে সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়েছে কাঁচা মরিচের। এইজন্য খুচরা বাজারে দাম বেড়েছে।

  শ্রীপুর বাজারে কাঁচা মরিচ কিনতে আসা ক্রেতা আরিফুল ইসলাম বলেন, ঈদের আগে রাজবাড়ীতে যে কাঁচা মরিচ ২০০ থেকে ২৫০ টাকা বিক্রি হয়েছে সেই কাঁচা মরিচ ঈদের পরদিন থেকে ৬০০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে। গত ২রা জুলাই পর্যন্তও প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা বিক্রি হয়েছে। আজ সকাল থেকে সেই কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। মরিচের দাম বেশি হওয়ায় এই কয়েক দিন কেনা হয়নি। আজ ৩০০ টাকা কেজি হওয়ায় এক পোয়া মরিচ ৭৫ টাকা দিয়ে কিনলাম।

  একই বাজারের অপর কাঁচামাল ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর বলেন, ঈদের পর থেকেই পাইকারী বাজারে মরিচের দাম বেশি ছিলো। এছাড়া সরবরাহ কম থাকায় মরিচের দাম বাড়তি ছিলো। তাই খুচরা বাজারে আমাদের ৬০০ টাকা কেজি বিক্রি করতে হয়েছে। পাইকারী বাজারে দাম কমায় এখন আমরা ৩০০ টাকা কেজি বিক্রি করছি।

  বড় বাজারের কাঁচামাল ব্যবসায়ী সিরাজ শেখ বলেন, একদিনের ব্যবধানে কাঁচা মরিচের দাম কমেছে। খুচরা বাজারে ২৫০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

  রাজবাড়ী পাইকারী বাজারে আড়তদার মোক্তার ট্রেডার্সের মালিক মোক্তার হোসেন মিঠু বলেন, অতিবৃষ্টি ও পরিবহন সংকটের কারণে ঈদের পর বাজারে মরিচের সরবরাহ কমে যায়। ফলে দাম বৃদ্ধি পায়। বর্তমানে ভারত থেকে কাঁচা মরিচের আমদানী হওয়ায় বাজারে মরিচের দাম কমেছে। পাইকারী বাজারে মরিচ ২০০ থেকে ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বৃষ্টি কমে গেলে আমাদের কৃষকরা ক্ষেত থেকে মরিচ তুলতে পারবে। তখন মরিচের দাম আরও কমে যাবে।

পাংশা ও কালুখালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আজ ভোট
পাংশা ও কালুখালীতে দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেটদের অবহিতকরণ সভা
জেলার শ্রেষ্ঠ ভান্ডারিয়া সিদ্দিকীয়া কামিল মাদাসা॥৫টি পুরস্কার লাভ
সর্বশেষ সংবাদ