রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলা মৎস্য দপ্তরের অভিযানে গতকাল ১৩ই সেপ্টেম্বর সকালে পদ্মা নদীর কুশাহাটা, অন্তরমোড়সহ বিভিন্ন স্থান থেকে বিপুল পরিমাণে অবৈধ চায়না দুয়ারী জাল, ঘন বেড় জাল ও কারেন্ট জাল জব্দ ও ৭ জেলেকে আটক করা হয়।

 উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, অভিযানকালে অবৈধভাবে পদ্মায় চায়না দুয়ারী দিয়ে মাছ শিকারের জন্য পেতে রাখা ৫০টি চায়না দুয়ারী, ১টি বড় ঘন বড় জাল, ১হাজার মিটার কারেন্ট জাল ও ২৫ কেজি বিভিন্ন প্রজাতির ছোট মাছ জব্দ করা হয়। পরে দুপুরে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে দৌলতদিয়া ১নম্বর ফেরী ঘাটে জালগুলো আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয় এবং মাছগুলো একটি এতিম খানায় বিতরণ করা হয়। এছাড়া ৭জন জেলের মধ্যে ৫জন জালের মালিককে প্রত্যেককে ২হাজার টাকা করে মোট ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

 এ সময় গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ জাকির হোসেন ও জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ মশিউর রহমান উপস্থিত ছিলেন। ধ্বংসকৃত জালগুলোর আনুমানিক মূল্য সাড়ে ৫ লক্ষ টাকা বলে জানা যায়। 

 গোয়ালন্দ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা রাজবাড়ী সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোস্তফা আল রাজীব ও নৌ পুলিশের একটি দলসহ উপজেলা মৎস্য অফিসের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ এ অভিযানে অংশ নেন।

 উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোস্তফা আল রাজীব বলেন, গতকাল ১৩ই সেপ্টেম্বর সকাল থেকে পদ্মা নদীতে অবৈধ জাল দুয়ারী, কারেন্ট জাল ধ্বংসে আমরা অভিযান পরিচালনা করেছি। তারই অংশ হিসেবে আজ সাড়ে ৫ লক্ষ টাকার অবৈধ জাল জব্দ করে তা আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করেছি এবং ৫ জন জেলেকে ১০ হাজার টাকা মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জরিমানা করা হয়েছে। 

 তিনি আরো বলেন, চায়না দুয়ারী দিয়ে দেশীয় মাছ ধ্বংস করে দিচ্ছে অসাধু জেলেরা। আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

 গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জাকির হোসেন বলেন, দেশীয় প্রজাতির মাছের জন্য হুমকি এই চায়না দুয়ারী জাল। এ জালে সব ধরণের মাছ ও জলজ প্রাণী ধরা পড়ে। অবৈধ এই জাল ব্যবহারের ফলে মাছ ও জলজ প্রাণী প্রজাতি বিলুপ্ত হওয়ার পথে। এসব জাল ব্যবহারের ফলে খাল, বিলের পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে এবং জলাবদ্ধতা তৈরি হচ্ছে। তাই মৎস্য সম্পদ রক্ষার্থে এসব জাল ধ্বংসে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।