ঢাকা বুধবার, মে ১, ২০২৪
গোয়ালন্দ পৌর কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে জমি হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন
  • আবুল হোসেন
  • ২০২১-১১-০৩ ১৫:৪০:২৩
গোয়ালন্দ প্রেসক্লাবে গতকাল ৩রা নভেম্বর দুপুরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবন্ধী ব্যক্তির নাম ওমর আলী লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন -মাতৃকণ্ঠ।

রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শাহিন মোল্লার বিরুদ্ধে প্রতারণার মাধ্যমে এক অসহায় প্রতিবন্ধী ব্যক্তির ১৫ শতাংশ জমি হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
 অসহায় ওই প্রতিবন্ধী ব্যক্তির নাম ওমর আলী(৬০)। তিনি রাজবাড়ী শহরের ৩নং বেড়াডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা। 
  গতকাল ৩রা নভেম্বর দুপুরে গোয়ালন্দ প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি লিখিত বক্তব্যে জানান, গোয়ালন্দ পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত ৮৭ নং উত্তর উজানচর মৌজার বিএস প্রস্তাবিত ৮৯২/২ নং খতিয়ানের ২২৯৩ নং দাগের মধ্যে তার ২৯ শতাংশ জমি রয়েছে। সেখান থেকে সাংসারিক টানাটানির কারণে বছর খানেক আগে তিনি ১৫ শতাংশ জমি বিক্রির চেষ্টা করেন। জমিটির সীমানা জটিলতা থাকায় কাউন্সিলর শাহিনের কাছে কয়েকবার যান। কিন্তু তিনি নানা তালবাহানা করে তাকে হয়রানী করতে থাকেন। একপর্যায়ে কাউন্সিলর শাহিন নিজেই জমিটি ক্রয় করার ইচ্ছে পোষণ করেন। তিনি প্রতি শতাংশ জমির মূল্য দেড় লক্ষ টাকা করে ধার্য্য করলে কাউন্সিলর শাহিন তাতেই রাজি হয়ে যান। এ অবস্থায় গত ১১/০৪/২০২১ ইং তারিখে কাউন্সিলর শাহিন তাকে ১ লক্ষ টাকা দিয়ে জমিটি বেচাকেনার বায়না করার কথা বলে গোয়ালন্দ সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে নিয়ে যান। সেখানে একজন দলিল লেখকের ঘরে তাকে বসিয়ে রেখে কাউন্সিলর শাহিন জমির পাওয়ার অব অ্যাটর্নীর কাগজপত্র প্রস্তুত করে এবং প্রতারণার মাধ্যমে  বায়নাপত্রের কথা বলে সেখানে তার স্বাক্ষর নিয়ে নেন। পরে তিনি সাব-রেজিস্ট্রারকে ম্যানেজ করে ওই কাগজ পাকাপোক্ত করে নেন এবং আরো ভালো দামে জমি বিক্রি করে দিবেন বলে তাকে আশ্বস্ত করেন। পরবর্তীতে কাউন্সিলর শাহিন ওই পাওয়ার অব অ্যাটর্নীর বলে তাকে বোকা বানিয়ে সাইদুর রহমান নামে এক ব্যক্তির নিকট ওই জমি ৩২ লক্ষ টাকায় বিক্রি বাবদ অগ্রীম ২০ লক্ষ টাকা নেন। সেখানে সাইদুর রহমানের পাশাপাশি তার স্বাক্ষরও তিনি নিয়ে নেন। তাকে আপাতত আড়াই লক্ষ টাকা দেয়ার কথা বলে আইএফআইসি ব্যাংকের একটি চেক দেন। কিন্তু ব্যাংকের রাজবাড়ী শাখায় চেকটি নিয়ে গিয়ে দেখা যায় তার একাউন্টে কোন টাকা নেই। অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে এ ধরনের প্রতারণা করায় তিনি গত ২রা নভেম্বর কাউন্সিলর শাহিনের বিরুদ্ধে গোয়ালন্দের এসিল্যান্ডের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দেন। এসিল্যান্ড রফিকুল ইসলাম কাউন্সিলর  শাহিনকে তলব করে আনলেও তিনি এসিল্যান্ডকে তোয়াক্কা না করে সেখান থেকে বেরিয়ে আসেন। এখন তিনি ও তার সহযোগী পৌরসভার কর্মচারী আকরাম হোসেন তাকে নানা ধরনের হুমকি ও ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। 
  সংবাদ সম্মেলনে ওমর আলীর একমাত্র  পুত্র রেজাউল করিম(৪০) উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, আমি বিদেশে ছিলাম। আমার বাবা শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী। তার অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে তার সাথে চরমভাবে প্রতারণা করেছে কাউন্সিলর শাহিন। আমরা আমাদের জমি ফেরত চাই এবং প্রশাসনের নিকট শাহিনের উপযুক্ত বিচারের দাবী জানাই। 
  এ ব্যাপারে অভিযুক্ত কাউন্সিলর শাহিন মোল্লা বলেন, ওমর আলী স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে না পারায় তিনি স্বেচ্ছায় আমাকে পাওয়ার অব অ্যাটর্নী করে দেন। সেই সাথে ওই জমির মূল্য নির্ধারণ করে দেন সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা। নির্ধারিত মূল্যের এক লক্ষ টাকা নগদ ও আড়াই লক্ষ টাকা চেকের মাধ্যমে আমি ওমর আলীকে ইতিমধ্যে দিয়ে দিয়েছি। ওনার সাথে চুক্তি মোতাবেক ওই জমি বিক্রি করে সাড়ে ৩ লক্ষ টাকার বেশী যে টাকা পাওয়া যাবে তিনি সেই টাকার দাবী করতে পারবেন না। এখন তিনি বিভিন্ন ব্যক্তির কথা শুনে চুক্তি ভঙ্গ করছেন। পৌর শহরের মধ্যে ১৫ শতাংশ জমির মূল্য মাত্র সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা হয় নাকি ? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ১৫ শতাংশ জমি বলা হলেও সেখানে মূলতঃ জমি রয়েছে মাত্র ৫ শতাংশ। এছাড়াও ওই জমিতে বিভিন্ন আইনী জটিলতা রয়েছে বলে তিনি দাবী করেন। 

স্থানীয় নির্বাচনে এমপি ও মন্ত্রীরা প্রভাব বিস্তার করতে পারবে না--নির্বাচন কমিশনার মোঃ আলমগীর
শেরে বাংলা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষে ‘ওয়াটার বেল’ কার্যক্রম
রাজবাড়ী জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানকে সতর্ক করলো জেলা নির্বাচন অফিসার
সর্বশেষ সংবাদ