রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের রিয়াজ উদ্দিন পাড়া এলাকায় বিভিন্ন নারীদের প্রলোভন দেখিয়ে সখ্যতা গড়ে তোলার অনৈতিক কর্মকান্ডের অভিযোগে খবির মোল্লা(৫০) নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে উত্তম মাধ্যম দিয়েছে এলাকাবাসী।
খবিরের পরিবারে স্ত্রী, এক ছেলে ও একটি মেয়ে রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে এলাকার স্কুলপড়ুয়া মেয়েদের টার্গেট করে অনৈতিক কর্মকান্ডে লিপ্ত ছিলেন বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। খবির মোল্লা ওই গ্রামের গোলাপ মোল্লার ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, খবির মোল্লা এর আগেও একাধিক কিশোরীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করেছে। তার প্রলোভনের শিকার হয়ে দু’জন কিশোরী মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ে মৃত্যুবরণ করে বলে অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি আরও দুই স্কুলছাত্রীকে কু-প্রস্তাব ও প্রলোভনের মাধ্যমে তার বাড়ীতে ডাকার চেষ্টা করলে এলাকাবাসীর সন্দেহ হয়।
গতকাল ৫ই মে বেলা ১১টার দিকে এক ছাত্রী তার বাড়ীতে যেতে চাইলে উত্তেজিত এলাকাবাসী খবির মোল্লাকে আটক করে গণধোলাই দেয়। পরে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
এলাকাবাসীর দাবী, এমন অনৈতিক কর্মকান্ডে দীর্ঘদিন ধরে লিপ্ত থাকা খবিরের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হোক, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এমন কাজ করার সাহস না পায়।
গোয়ালন্দ থানার ওসি মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম জানান, খবির মোল্লার বিরুদ্ধে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও স্থানীয় বাসিন্দারা আমাকে জানান মেয়েলি ঘটনা সংক্রান্ত ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে থানা পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং আহত খবির মোল্লাকে উদ্ধার করে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে চিকিৎসা প্রদান করে। এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ দিলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে বিকালে রিয়াজ উদ্দিন পাড়া ও মৃধাডাঙ্গার সর্বস্তরের জনগণের ব্যানের দুই শতাধিক নারী-পুরুষ নারীলোভী, অশ্লীল আচরণ, সমাজ নষ্টকারী খবির ও তার দোষরদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও তার লালসার শিকার সাহেদা হত্যার বিচারের দাবীতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।