ঢাকা সোমবার, এপ্রিল ২৯, ২০২৪
সরকারী কর্মকর্তা পরিচয়ে বিয়ে ঃ ধর্ষণের পর যৌনপল্লীতে বিক্রির চেষ্টাকারী প্রতারক গ্রেপ্তার
  • মীর সামসুজ্জামান
  • ২০২৩-১২-২৩ ১৪:২৩:৫৩

 সরকারী চাকরিজীবী পরিচয়ে মানবপাচার, ধর্ষণ ও প্রতারণার মামলায় আবুল কালাম আজাদ ওরফে শাহারিয়ার নাফিজ ইমন(৩৫) নামে এক ব্যক্তি পুলিশ ও র‌্যাবের অভিযানে গ্রেফতার হয়েছে।

 গতকাল ২৩শে ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ১১টায় রাজবাড়ী পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার জিএম আবুল কালাম আজাদ।

 জানা গেছে, গত ২১শে ডিসেম্বর রাতে নাটোরের লালপুর উপজেলার হাজী মার্কেট এলাকা থেকে পুলিশ ও র‌্যাব-৫ যৌথ অভিযান পরিচালনা করে প্রতারক আবুল কালাম আজাদ ওরফে শাহারিয়ার নাফিজ ইমনকে গ্রেফতার করে।

 গ্রেফতারকৃত শাহারিয়ার নাফিজ ইমন ওরফে বুলবুল চুয়াডাঙ্গার দামুরহুদা উপজেলার বড় দুধপাতিলা গ্রামের মৃত আয়নাল হকের ছেলে।

 সংবাদ সম্মেলনে রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার জিএম আবুল কালাম আজাদ বলেন, আসামী আবুল কালাম আজাদ ওরফে শাহারিয়ার নাফিজ ইমন ওরফে বুলবুল তার পরিচয় গোপন করে সরকারী চাকরীজীবী পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন জেলার নারীদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে তাদের বিয়ে করতো। পরে তার শশুর বাড়ির আত্মীয় স্বজনদের সরকারী চাকুরী দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিতো।

 আসামী শাহরিয়ার নাফিজ ইমন ওরফে বুলবুল নিজেকে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলীর সরকারী অডিট অফিসার রাজবাড়ী, ফরিদপুর, যশোর, পাবনা, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন উপজেলার সরকারী অফিসের দায়িত্বে আছে বলে পরিচয় দিয়ে রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার আশা(১৭) নামের এক মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। একপর্যায়ে আসামী তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণামূলক বিয়ে করে ধর্ষণ করে এবং গত ২৭শে আগস্ট তাকে ফরিদপুরে যৌনপল্লীতে বিক্রির চেষ্টা করে। সেই সাথে ভিকটিমের বাড়ি  থেকে নগদ ৮ লাখ টাকা ও ৫ লাখ ৭০হাজার টাকা মূল্যে স্বর্ণালঙ্কার চুরি করে নিয়ে যায়।

 পরবর্তীতে ভিকটিমের মা বিষয়টি জানতে পেরে বাদী হয়ে রাজবাড়ী জেলার পাংশা থানায় ধর্ষণ, প্রতারণা এবং পাচারের অভিযোগে মামলা করেন।

 মামলার পর থেকে আসামী আবুল কালাম আজাদ ওরফে শাহারিয়ার নাফিজ ইমন ওরফে বুলবুল আত্মগোপনে চলে যায়। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে পুলিশ ও র‌্যাব যৌথ অভিযান চালিয়ে গত বৃহস্পতিবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নাটোরের লালপুরের হাজী মার্কেট এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে তিনটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।

 পুলিশ সুপার আরও জানান, আসামী গত মার্চের ৭ই তারিখ থেকে আগস্টের ২৬শে আগষ্ট পর্যন্ত পাংশা থানার বিভিন্ন এলাকায় সরকারী কর্মকর্তার পরিচয় দিয়ে সরকারী বিভিন্ন দপ্তরে চাকুরী দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ৭জনের নিকট থেকে ২৩ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে। আসামীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৪টি প্রতারণার মামলা ও ১টি চোরাচালানের মামলা রয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামীকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।

 সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(প্রশাসন ও অর্থ) মোঃ রেজাউল করিম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(ক্রাইম এন্ড অপস্) মুকিত সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(সদর সার্কেল) মোঃ ইফতেখারুজ্জামান, সহকারী পুলিশ সুপার(পাংশা সার্কেল) সুমন কুমার সাহা, জেলা বিশেষ শাখার ডিআইও-১ বিপ্লব দত্ত চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

 
আন্তঃনগর মধুমতী এক্সপ্রেসে প্রায়ই যান্ত্রিক ত্রুটি॥বেড়েছে যাত্রী ভোগান্তি
রাজবাড়ী জেলা ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি সিরাজ-সম্পাদক উৎসব
১২তম জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস কাল
সর্বশেষ সংবাদ