রাজবাড়ী সদর উপজেলার রাজাপুরে হত্যা মামলার আসামীদের বাড়ী ভাংচুরে বাঁধা দেওয়ায় পুলিশের উপ-পরিদর্শক(এসআই) সাব্বির হোসেনের ওপর হামলার অভিযোগে মামলা দায়ের হলে অভিযুক্ত ২জন আসামী গ্রেপ্তার হয়েছে।
গতকাল ১৯ই মে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(ক্রাইম এন্ড অপস্) মোঃ শরীফ আল রাজীব।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- সদর উপজেলার বসন্তপুর ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের মামলার এজাহারনামীয় ১নং আসামী মোঃ মনির হোসেন মোল্লা ওরফে বড় মনির ও এজাহারনামীয় ২নং আসামী মোঃ মোসলেম মোল্লা।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ১৮ই মে বিকালে বসন্তপুর ইউনিয়নের রাজাপুর মধ্যপাড়া গ্রামে রুপল হত্যার বিচারের দাবীতে মানববন্ধন করে ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণ। মানববন্ধন চলাকালে আকস্মিকভাবে মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীদের মধ্য থেকে কিছু লোক রুপল হত্যা মামলার এজাহারনামীয় আসামীদের বাড়ি-ঘরে ভাংচুর শুরু করলে সেখানে অবস্থানরত এসআই সাব্বির হোসেন এবং এএসআই শেখ আবুল হাশেম ভাংচুরকারীদের বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। ওই সময় উত্তেজিত লোকজন হত্যা মামলার এজাহারনামীয় আসামী মোঃ মোক্তার বিশ্বাসের বাড়ীর সামনে থেকে মনির হোসেন মোল্লা ও মোসলেম মোল্লাসহ অন্যান্য আসামীরা লাঠি সোটা ও ইট দিয়ে তাদের ওপর আক্রমণ করে। এতে এসআই সাব্বির হোসেন মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় ওইদিন সন্ধ্যায় ভিডিও ফুটেজ দেখে চিহ্নত করে ২জনকে আটক করে পুলিশ। পরে গতকাল ১৯শে মে এসআই সাব্বির হোসেন বাদী হয়ে ১২জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ২৫/৩০ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করলে তাদের ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) মোঃ শরীফ আল রাজীব বলেন, সদর থানার এসআই সাব্বির হোসেনের ওপর হামলার অভিযোগে মামলা দায়ের হলে থানা পুলিশ ও ডিবি পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত ২জনকে গ্রেপ্তার করে। অন্যান্য আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
এর আগে গত ১৬ই মে সন্ধ্যায় মোবাইলে প্রবাসীর স্ত্রীর গোসলের ভিডিও ধারণের অভিযোগ ও চুরির অপবাদ দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয় রাজাপুর গ্রামের ভ্যান চালক দিনমজুর রুপল শেখকে(২৭)। এ ঘটনায় ওইদিন রাতেই রুপলের মামা কালাম মোল্লা বাদী হয়ে ১০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৭/৮ জনের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। গত ১৭ই মে ভোরে মামলার ৪জন আসামীকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ।